স্টেশন ছেড়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে না নির্বাচনি ট্রেন: ১২ দলীয় জোট
প্রকাশ | ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৩:৪৬
স্টেশনে বিকল হওয়া আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ট্রেন গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে না- এমন হুঁশিয়ারি দিয়ে ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, যে নির্বাচনের ট্রেন মাস্টার শেখ হাসিনা নিজেই, সেই নির্বাচনে নৌকায় ‘৫৭ মিনিটে ৪৫ ভোট’ এ পরিণত হবে। তাই ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতোই এই একতরফা নির্বাচন জনগণ প্রত্যাখান করেছে। জনগণের দাবি, একদলীয় নির্বাচনি পরিবেশে ভোট প্রদান করা ভোটারদের জন্য এখন আতঙ্কের নাম।
রবিবার দুপুরে শেখ হাসিনার পদত্যাগ, রাজবন্দিদের মুক্তি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে ১২ দলীয় জোটের অবরোধের পক্ষে একটি বিক্ষোভ মিছিল জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে বের হয়ে বিজয়নগর ঘুরে পল্টন মোড়ে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা বলেন তারা।
জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘এই সরকারের পতন ঘণ্টা অতি কাছে। আওয়ামী লীগ দেউলিয়া হয়ে এখন বিভিন্ন দলছুট নেতাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে নির্বাচন করার ষড়যন্ত্র করছে।’
‘দলছুট’ নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘অবৈধ ভোটে এমপি-মন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন ভুলে যান। শেষ বেলা দেখবেন এই প্রতারক আওয়ামী লীগ আপনানদের একটি করে শেখ মুজিবের কম্বল ধরিয়ে দেবে।’
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক এমপি নওয়াব আলী আব্বাস খান বলেন, ‘সরকারের পায়ের তলায় মাটি নেই। তারা এখন পুলিশ বাহিনীর ওপর ভরসা করে টিকে আছে। তারা দেশকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে। তাদের ক্ষমতায় রাখলে বাংলাদেশ কঠিন বিপদে পড়বে।’
জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, ‘স্যাংশন চাপে আওয়ামী লীগ এখন পশ্চিমা কূটনীতিকদের হাতে-পায়ে ধরা শুরু করেছে। এই ফ্যাসিবাদ সরকার জানে এবার বিদায় হলে আওয়ামী লীগের নামনিশানা বাংলার মাটিতে থাকবে না। তাই তারা নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য রাশিয়া-ভারতকে প্রভু বলে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের বোঝানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দেশবাসী হুঁশিয়ার থাকবেন।’
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, ইসলামি ঐক্যজোটের মহাসচিব প্রফেসর মাওলানা আব্দুল কারিম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রচার সম্পাদক বেলায়েত হোসেন শামীম।
উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির হান্নান আহমেদ খান বাবলু, জাগপার অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, বাংলাদেশ এলডিপির অতিরিক্ত মহাসচিব তমিজউদদীন টিটু, সৈয়দ ইব্রাহিম রনক, এম এ বাশার, আবদুল হাই নোমান, হামিদুল করিম আব্বাসী, ফরিদ উদ্দিন, ইসলামী ঐক্য জোটের ইলিয়াস রেজা, জমিয়তের আতাউর রহমান খান, মাওলানা এমএ কাশেম ইসলামাবাদী, বাংলাদেশ লেবার পার্টির হুমায়ুন কবির, শরীফুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, মো. আসাদ, যুব জাগপার নজরুল ইসলাম বাবলু, এলডিপির ফয়সাল আহমেদ, ছাত্র সমাজের কাজী ফয়েজ আহমেদ, মেহেদী হাসান, ফাহিম হোসাইন, ছাত্র জমিয়তের নিজাম উদ্দিন আল আদনান, ছাত্র মিশনের মো. মোসতাকিন বিল্লাহ প্রমুখ।
(ঢাকাটাইমস/৩নভেম্বর/জেবি/এফএ)