কুড়িগ্রাম হানাদারমুক্ত দিবস বুধবার
প্রকাশ | ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৩:০৩ | আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৪:১০
আগামীকাল ৬ ডিসেম্বর, কুড়িগ্রাম হানাদারমুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এদিন পাক হানাদারমুক্ত হয় উত্তরবঙ্গের এ জেলা। সেদিন সারাদেশে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত না হলেও এ অঞ্চলে উদিত হয় স্বাধীনতার পতাকা।
মুক্তিযুদ্ধের সময় ৬ এবং ১১ নম্বর সেক্টরের অধীনে ছিল কুড়িগ্রাম অঞ্চল। যুদ্ধকালীন সময়ে কুড়িগ্রামের সঙ্গে ব্রহ্মপুত্র নদ দ্বারা বিচ্ছিন্ন হওয়ায় রৌমারি উপজেলায় ছিলো মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ ক্যাম্প। সেময় ‘মুক্তাঞ্চল’ নামে পরিচিত ছিলো এ উপজেলা।
নভেম্বরের প্রথম থেকেই মুক্তিসেনাদের সাঁড়াশি আক্রমণে একের পর এক পতন হতে থাকে পাকসেনাদের ঘাঁটি। পাক হানাদার বাহিনীর কবল থেকে ধাপে ধাপে মুক্ত হয় ভুরুঙ্গামারী, নাগেশ্বরী, চিলমারী, উলিপুর উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকা।
এসব এলাকা নিজেদের কাছ থেকে হাতছাড়া হওয়ার পর পাক বাহিনী শক্ত ঘাঁটি গড়ে কুড়িগ্রাম শহরে। সেখানেও মুক্তিবাহিনীর বিমান হামলায় বেসামাল হয়ে পড়ে পাকসেনারা। তাদের সাঁড়াশি আক্রমণে ৫ ডিসেম্বর থেকে পিছু হটতে শুরু করে পাকসেনারা। এরপর আসে বিজয়ের দিন ৬ ডিসেম্বর। হানাদারমুক্ত হয় কুড়িগ্রাম।
সেদিনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কুড়িগ্রাম জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মো. আবজাল হোসেন বলেন, ‘আমাদের কাছে নির্দেশনা ছিল ৬ ডিসেম্বর কুড়িগ্রামকে হানাদারমুক্ত করতে হবে। সেই নির্দেশনা মোতাবেক আমরা হানাদারমুক্ত করতে সক্ষম হয়েছি। তারপর সাধারণ মানুষ আমাদের নিয়ে উল্লাস করেছে। সেই স্মৃতি বেঁচে থাকতে ভুলে যাব না।’
৬ নম্বর সাব-সেক্টরে কোম্পানি কমান্ডার মো. আবদুল হাই সরকার (বীরপ্রতীক) জানান, ‘আমি ৬ নম্বর সাব-সেক্টরে কোম্পানি কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে যুদ্ধ করেছি। ৬ ডিসেম্বর কুড়িগ্রামকে মুক্ত করে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে বিকেল ৪টায় শহরে প্রবেশ করে নতুন শহরের ওভারহেড পানির ট্যাংকসহ বিভিন্ন স্থাপনার ওপর স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেছিলাম। সেদিন মুক্তিযোদ্ধাদের স্বাগত জানাতে হাজারো মুক্তিকামী মানুষ মিছিলে মিলিত হয়েছিল।’
মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক এই দিনটিকে স্মরণ রাখতে বুধবার জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটসহ বিভিন্ন সংগঠন পৃথক পৃথক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/০৫ ডিসেম্বর/জেডএম)