মানুষের গাড়িতে আগুন দেওয়া রাজনীতি হতে পারে না: ডিবিপ্রধান
প্রকাশ | ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৬:২০ | আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৬:২৪
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ- ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, ‘রাজনৈতিক দল ৯ দফায় ১৮ দিন অবরোধ আর তিন দিন হরতাল ডেকেছে। কিন্তু অবরোধ ডেকে রাস্তায় না নেমে পালিয়ে থেকে ভাড়া করা লোকজন নিয়ে মানুষের গাড়িতে, যানবাহনে, মানুষের উপরে বোমা নিক্ষেপ করছে। পরিত্যক্ত গাড়িগুলোতে আগুন লাগাচ্ছে। এটা তো আসলে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি হতে পারে না।’
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে অবস্থিত ডিবির নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
ডিবিপ্রধান বলেন, ‘হরতাল এবং অবরোধ ডেকে রাস্তায় নামা তাদের গণন্ত্রাতিক অধিকার। তারা তাদের সমাবেশ করতে পারে। আমরা আগেও দেখেছি ২০১৪ সালে এইরকমভাবে তারা রাস্তার মধ্যে বোমা নিক্ষেপ করেছে। পুলিশের উপর তারা হামলা করার চেষ্টা করেছে। জনগণ কিন্তু তাদের এমন কর্মসূচিতে সাড়া দেয়নি।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়েছে। আমরা নির্বাচন কমিশনের দিক নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করছি। পাশাপাশি আমাদের রুটিনমাফিক কাজও করছি। যারা প্রতারণা করে, ডাকাতি করে, যারা ওয়ারেন্টভুক্ত ও তালিকাভুক্ত আসামি, তাদের গ্রেপ্তার করা আমাদের রুটিনওয়ার্ক। পাশাপাশি জনগণের সরকারের সম্পত্তি রক্ষার দায়িত্বও কিন্তু পুলিশের।’
হারুন অর রশীদ বলেন, ‘মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া এবং সম্পত্তি রক্ষা করতে আমরা পুলিশ বাহিনী, ডিবি পুলিশ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রাস্তায় থেকে রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা কাজ করি। উদ্দেশ্য আমাদের একটাই, স্বাভাবিক যান চলাচলে কেউ যেন বাধা সৃষ্টি না করে। সাধারণ মানুষ ঘর থেকে বের হবে, কাজ করবে। তাদের সম্পত্তিগুলো রক্ষা করা। কোনো দুষ্কৃতকারী যেন কোনো হামলা করতে না পারে।’
ডিবিপ্রধান বলেন, ‘যারা নয় দফায় ১৮ দিন অবরোধ আর তিনবার হরতাল ডেকেছে, মানুষ তো সেসব মানছে না। তারা ঘর থেকে বের হয়ে আসছে। তাহলে যারা অবরোধ ডেকে ঘরে বসে ভাড়া করে লোক এনে বোতলের ভেতরে কেরোসিন দিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে কোনো কোনো জায়গায় আগুন লাগানোর চেষ্টা করছে, এতে বিচ্ছিন্ন ভাবে বিভিন্ন জায়গায় হয়তো আগুন লাগছে। কিন্তু দিনশেষে মানুষের মধ্যে এর কোনো প্রভাব পড়ছে না। সে কারণেই মানুষ ঘর থেকে বের হয়ে রাস্তায় চলাচল করছে।’
হারুন অর রশীদ আরও বলেন, ‘আনুপাতিক হারে বাংলাদেশ একটি ঘনবসতি দেশ। ১৮ কোটির কাছাকাছি মানুষ। সেই তুলনায় আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংখ্যা আনুপাতিক হারে অনেক কম। তারপরও প্রত্যেকটা পুলিশ সদস্য রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা পরিশ্রম করছে। আমাদের ওসি থেকে শুরু করে সিনিয়র কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক কিন্তু মাঠে থেকে, রাস্তায় থেকে সাধারণ মানুষের জানমাল সম্পত্তি রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছেন।’
তিনি বলেন, ‘যে সব দুষ্কৃতকারীরা তথাকথিত অবরোধের নামে মানুষের জানমালের উপরে ককটেল বিস্ফোরণের মতো নেক্কারজনক ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করছে, পরিত্যক্ত কিংবা একজনের একটিমাত্র সহায় সম্বলে, গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে, তাদের অনেককে আমরা গ্রেপ্তার করেছি, অনেকে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। অনেকের নামও আমরা পেয়েছি। তাদেরকে আমরা শিগগিরই গ্রেপ্তার করব।’
(ঢাকাটাইমস/০৫ডিসেম্বর/এসএস/এজে)