টেলিযোগাযোগের দায়িত্ব পেয়ে যে কারণে আবেগতাড়িত প্রতিমন্ত্রী পলক

প্রকাশ | ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৭:১৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবার অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের দায়িত্ব পেয়েছেন। এই দায়িত্ব পাওয়ার পর আবেগপ্রবণ হয়েছেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি জানালেন, তার বাবা ফয়েজউদ্দিন আহমেদও পেশায় ছিলেন একজন টেলিকম অপারেটর।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সাংবাদিকদের কাছে বাবার পেশাজীবন নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, যখন মন্ত্রিপরিষদ সচিব আমাকে আনুষ্ঠানিকভাবে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়ার সুখবরটি দিলেন, তিনি এই বিশাল দায়িত্বের কথা আমাকে বললেন, ঠিক তখনই আমি নিজেকে ধরে রাখতে পারিনি। আমি ভীষণ আবেগতাড়িত হয়ে যাই। কারণটা হচ্ছে, আমার বাবা ফয়েজউদ্দিন আহমেদ গ্রামের ছেলে।

‘যেহেতু খুব বেশি ধনাঢ্য পরিবারের সন্তান ছিলেন না, তখন টেলিফোন এক্সচেঞ্জের অপারেটর পদে চাকরি পান। তখন তিনি দিনাজপুরে গিয়ে জয়েন করেন। যে কারণে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের লেখাপড়া শেষ করা হয়নি তার। তারপর বদলি হয়ে বগুড়ায় আসেন এবং আমার মায়ের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। এরপর শান্তাহার, নাটোর, চুয়াডাঙ্গা এক্সচেঞ্জেও তিনি টেলিফোন অপারেটর পদে চাকরি করেন।’

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, তখন সময়টি ছিল ১৯৫৭ সাল। আমি সকালে মাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, আব্বার বেতন কত ছিল? তিনি বললেন, ১২৫ টাকা। যাই হোক, এসব কারণে টেলিকম খাতের সঙ্গে আমার একটা আবেগের সম্পর্ক রয়েছে। আমি ভাবলাম, আজ আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করি। যেদিন দায়িত্ব নেওয়ার খবরটি পাই, মাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছিলাম। মা মনে করেছিলেন, কোনো দুর্ঘটনা ঘটে গেছে। আমি আসলে আনন্দটা প্রকাশ করার ভাষা খুঁজে পাচ্ছিলাম না।

‘আমি আইসিটি বিভাগে গেল ১০ বছর ধরে কাজ করছি। টেলিকম খাতও কিন্তু আইসিটিরই একটি সহায়ক বিভাগ এবং একই মন্ত্রণালয়ের আওতায়। ২০১৪ সালে এটি ছিল তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। তারপর সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে প্রধানমন্ত্রী এটির নাম দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। দুটি বিভাগ ও দুটি মন্ত্রণালয়কে এক করে দিলেন।’

(ঢাকাটাইমস/০৫নভেম্বর/এমএইচ/ইএস)