নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন: মাদারীপুর আদালতে হাজিরা দিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগম

প্রকাশ | ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ২০:০৮

মাদারীপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

মাদারীপুর-৩ আসনে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোসা. তাহমিনা বেগম আদালতে হাজিরা দিয়েছেন।

মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে মাদারীপুর-৩ আসনের নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও যুগ্ম জেলা জজ আদালতের (ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল) বিচারক মো. শরিফুল হকের কাছে লিখিত ব্যাখ্যা দেন তাহমিনা বেগম।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোসা. তাহমিনা বেগমের বিরুদ্ধে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও কালকিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগের নৌকা মনোনীত প্রার্থী আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ।

এ অভিযোগের পর অভিযুক্ত স্বতন্ত্র প্রার্থী মোসা. তাহমিনা বেগমকে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও যুগ্ম জেলা জজ আদালতের (ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল) বিচারক মো. শরিফুল হক সশরীরে হাজির হয়ে কারণ দর্শাতে বলেন। এরই প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত ও অভিযোগকারী উভয় হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাদারীপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোসা. তাহমিনা বেগম গত ২৯ নভেম্বর গাড়ি বহরসহ বহিরাগত ও তার অনুসারিদের নিয়ে প্রভাব খাটিয়ে ব্যান্ডপার্টি, ঢোল বাদ্য যন্ত্র, বাঁশি বাজিয়ে পরিবেশন করে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান। পরে তিনি ওইদিন জমা না দিয়ে চলে আসেন। পরের দিন ৩০ নভেম্বর সকালে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। যা নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের সামিল।

এ ব্যাপারে মাদারীপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোসা. তাহমিনা বেগম বলেন, আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ ও তার একজন সমর্থক দুজনেই একই ধরনের অভিযোগ করেছেন আমার বিরুদ্ধে। এগুলো মিথ্যা অভিযোগ। অভিযোগে ঘটনার দিন যা বলা হয়েছে, তার কিছুই ঘটেনি। এই ঘটনার মধ্যে কোন সত্যতা নেই।

অভিযোগকারী আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগম ও আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী তৌফিকুজ্জামান আমার বিরুদ্ধে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছেন। ব্যাপক সমাগমের মধ্যদিয়ে আমি নাকি মনোনয়পত্র জমা দিয়েছি। সেখানে আমি নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছি। গত রবিবার আমি আদালতে সশরীরে এসে বলেছি, আমি এধরনের আচরণ করিনি। আমিও একটি অভিযোগ করেছিলাম স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগম ও আরেক প্রার্থী তৌফিকুজ্জামানের বিরুদ্ধে। তারাও ব্যাপক সমাগমের মধ্যদিয়ে ঢাল ঢোল পিটিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। তারাও নির্বাচনি আচারণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। 

(ঢাকাটাইমস/০৫ডিসেম্বর/ইএইচ)