আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আ.লীগ যৌথভাবে বিরোধীদের ওপর দমনপীড়ন চালাচ্ছে: নুর

প্রকাশ | ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৬:৫১ | আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৭:০৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

তফসিল বাতিল, সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিরোধী দলসমূহের ডাকা ১০ম দফা অবরোধের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছে গণঅধিকার পরিষদ।

বুধবার পুরানা পল্টন আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু করে পল্টন মোড়, নাইটিংগেল মোড় ঘুরে বিজয়নগর পানির ট্যাংকির মোড়ে এসে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে জেলা, উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথভাবে বিরোধীদের ওপর হামলা-মামলা, দমনপীড়ন চালাচ্ছে। বিএনপির নেতাকর্মীদের বাসায় না পেয়ে তাদের বাবা-মা আত্মীয়স্বজনকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে, মামলা দিচ্ছে। পাকিস্তান আমলেও এমন হয়নি। গত দুটি নির্বাচন থেকে আমরা দেখেছি দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি, জনগণ ভোট দিতে পারে নাই। সুষ্ঠু নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার পিতার নামে শপথ করেও জনগণের সঙ্গে প্রতারণা, বেইমানি, মোনাফেকি করেছে। জনগণ আর প্রতারক, বেইমান, মোনাফেকদের বিশ্বাস করে না।

তিনি আরও বলেন, উন্নয়নের নামে স্বাধীনতার ৫২ বছরে সরকার র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা এনে দিয়েছে, ভিসা নিষেধাজ্ঞা এনেছে। র‍্যাবের পর এখন সোয়াত, ডিএমপির ওপরও এনেছে। আমেরিকা সোয়াত ও ডিএমপিকে কোনো সহযোগিতা করবে না। আসন্ন নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে শান্তিরক্ষী মিশনও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সরকার এত বছর ক্ষমতায় থেকে দেশের চিকিৎসা খাতের উন্নয়ন করতে পারে নাই, এখনও চিকিৎসার জন্য দেশের মানুষকে বিদেশে যেতে হয়। সরকার এত বছর ক্ষমতায় থেকে বেকারদের কর্মসংস্থান করতে পারে নাই। উচ্চ শিক্ষিত ছেলেমেয়েরা চাকরি খুঁজে বেড়াচ্ছে।

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেন, আজ ঐতিহাসিক ৬ ডিসেম্বর ‘স্বৈরাচার পতন দিবস’।  আজকের দিনে স্বৈরাচার এরশাদ ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়েছিল। আওয়ামী লীগকে বলব, আপনাদেরও এমন পতন হবে, যদি পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করেন। ১৪ দলের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে তিনি নিজে বলেছেন, অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে, কিন্তু তিনি মাথানত করবেন না। এভাবেই একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে দেশ অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার দিকে যাচ্ছে। জাতীয় পার্টির সঙ্গে আওয়ামী লীগের আসন ভাগাভাগি হয়ে গেছে। তাহলে বিরোধী দল কেউ নির্বাচনে যাচ্ছে না। আমরা ও মামুরা মার্কা আরেকটি পাতানো নির্বাচন হতে যাচ্ছে। গতকাল সাংবাদিকদের সাথে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত শাহজাহান ওমর খারাপ ব্যবহার করেছে। আমরা সাংবাদিক ভাইদের বলবো, তাকে আপনারা বর্জন করেন। যারা জনগণের সঙ্গে বেইমানি করবে, তাদেরকে জনগণ এভাবেই বর্জন করবে।

সঞ্চালনা করেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আব্দুজ জাহের। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, ফাতিমা তাসনিম, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, রবিউল হাসান, জিলু খান, যুব পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক মুনতাজুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি সাব্বির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা সম্পদ, গণঅধিকার পরিষদ মহানগর দক্ষিণের সভাপতি নাজিম উদ্দিন, উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিমসহ নেতাকর্মীরা।

(ঢাকাটাইমস/০৬ডিসেম্বর/জেবি/ইএস)