গজারিয়ায় এসএসসি পরীক্ষার্থীদের রোল গরমিলসহ অগ্রিম কোচিং ফি নেওয়ার অভিযোগ

প্রকাশ | ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ২১:১৫ | আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ২১:১৭

গজারিয়া (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস:

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার টেংগারচর ইউনিয়নে 'ভাটেরচর দেওয়ান আব্দুল মান্নান পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের রোল নম্বর গরমিল করাসহ অগ্রিম কোচিং ফি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার সকাল ১০টার সময় স্কুল প্রাঙ্গনে এসএসসি পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা প্রধান শিক্ষকের কক্ষে একত্রিত হয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীর  রোল নম্বর পেছানো এবং অর্থের বিনিময়ে অন্য শিক্ষার্থীকে সামনে এনে রোল নম্বর গরমিল করাসহ চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত তিন মাসের অগ্রিম কোচিং ফি নেওয়ার অভিযোগ করেন।

একাধিক ক্ষুব্ধ অভিভাবকের অভিযোগ, স্কুলের শিক্ষিকা রোমানা বেগমের  ছেলের রোল নম্বর প্রধান শিক্ষকের সহযোগিতায় এসএসসি পরীক্ষার রোল নম্বরের তালিকাতে গরমিল করা হয়েছে। 

প্রধান শিক্ষক মো. শাহজাহান সিকদার জানান, শিক্ষা বোর্ডে অনলাইনের মাধ্যমে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। কোন শিক্ষার্থীর রোল আগে বা পরে হলে আমাদের করণীয় নেই।

ক্ষুদ্ধ অবিভাবক ও শিক্ষার্থীদের প্রশ্নবানে জর্জরিত হয়ে এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষক স্বীকার করেন প্রক্রিয়াগতভাবে হোক আর যে কারণেই হোক রোল নম্বরে গরমিল হয়েছে।  

তিন মাসের কোচিং ফি অগ্রিম নেওয়া প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষক বলেন, শিক্ষার্থীরা কোচিং করার পর যথা নিয়মে কোচিং ফি না দেওয়ায় অগ্রিম নেওয়া হয়েছে । কোচিং ফি মুন্সীগঞ্জের সর্বাধিক স্কুলে অগ্রিম নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. জাকির হোসেন জানান, ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের রোল নম্বরে গরমিল হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। স্কুল থেকে পাঠানো তালিকা অনুযায়ী রোল তালিকা হয়।

রোল গরমিল করার বিষয়টি শিক্ষা বোর্ড বরাবর অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে তারা ব্যবস্থা নিবেন বলেও জানান তিনি।

(ঢাকাটাইমস/০৬ডিসেম্বর/পিএস)