নোয়াখালীতে নৈশপ্রহরীকে হত্যা করে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৭

প্রকাশ | ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৪:৪৫ | আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৪:৪৮

নোয়াখালী প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট বাজারে নৈশপ্রহরীকে হত্যা করে দুটি স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৬০ ভরি স্বর্ণ, ১৬০ ভরি রূপা ও স্বর্ণালঙ্কার বিক্রির ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়েছে। আসামিদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও দুই রাউন্ড কার্তুজ। 

সোমবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশ সুপার মো. শহিদুল ইসলাম। 

এরআগে রবিবার বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ডাকাতির মূলহোতা নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার জগজীবনপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রহিম এর ছেলে মো. শাহাদাত হোসেন, বজরা গ্রামের মো. সোলায়মানের ছেলে মো. সাদ্দাম হোসেন জিতু, চৌমুহনী পৌরসভার করিমপুর গ্রামের মৃত অলি উল্যাহর ছেলে সালা উদ্দিন, কবিরহাট উপজেলার জৈনদপুর গ্রামে মৃত মো. শহীদ এর ছেলে মো. মিজানুর রহমান রনি, লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার চরপাগলা গ্রামের মৃত শহীদুল্লাহর ছেলে মো. নোমাম, পশ্চিম চরমার্টিন গ্রামের মো. মোরশেদের ছেলে মো. সুজন হোসেন ও কৃষ্ণপুর গ্রামের সুভাষ চন্দ্র সরকারের ছেলে কৃষ্ণ কমল সরকার। 

পুলিশ সুপার জানান, ডাকাতরা দীর্ঘদিন পর্যন্ত পরিকল্পনার পর গত ৭ ডিসেম্বর রেকি করে এবং ৮ ডিসেম্বর ভোরে ডাকাতি সংগঠিত করে। পুলিশ খুব অল্প সময়ের মধ্যে ডাকাতির মূলহোতাসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। বেশ কিছু মালামালও জব্দ করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি, খুন, গরু চুরিসহ নানা অপরাধের মামলা রয়েছে। ঘটনার সঙ্গে যুক্ত অপর ডাকাতদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার।

(ঢাকাটাইমস/১১ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/জেডএম)