রাজশাহীতে পেঁয়াজ রক্ষায় কৃষকের রাত জেগে পাহারা

প্রকাশ | ১২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:২৮

রাজশাহী প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস

রাজশাহীর পুটিয়া উপজেলায় শিবপুরহাটে চুরি আতঙ্কে রাত জেগে পেঁয়াজ ক্ষেত পাহারা দিচ্ছেন কৃষকরা। কৃষক মৃধা মিয়া আগের মৌসুমে ১০ কাঠা জমিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ করেছিলেন। সেসময় ফলনও পেয়েছিলেন ভালো। দামও পেয়েছিলেন। এ কারণে এবার এক বিঘা জমিতে চাষ করেছেন তিনি। তিনি মণপ্রতি পেঁয়াজ বিক্রি করছেন সাড়ে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকায়। 

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, পুঠিয়ায় গ্রীষ্মকালীন এন-৫৩ জাতের কাশ্মীর পেঁয়াজই চাষ হচ্ছে। এ মৌসুমে ১ হাজার ৫০ বিঘা জমিতে আবাদ করেছেন চাষি। আগের বছর যা ছিল ৪৮০ বিঘা। প্রতি বিঘায় ফলন মিলছে ১৫০-২০০ মণ পর্যন্ত। 

পুঠিয়া ইউনিয়নের তারাপুরের চাষি মাসুদ রানা দেড় বিঘা জমিতে চাষ করেছেন গ্রীষ্মকালীন এ পেঁয়াজ। প্রতি বিঘার চাষে তার খরচ হয়েছে ৩৫-৪০ হাজার টাকা। উৎপাদিত পেঁয়াজের দাম মিলছে ৪ থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা। বাজারে দাম ভালো মেলায় তিনি পরিকল্পনা করছেন আগামী মৌসুমে দ্বিগুণ জমিতে পেঁয়াজ চাষের।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা গোলাম সাকলাইন বলেন, কৃষি কর্মকর্তারা যেভাবে তদারক করেছেন, নির্দেশনা দিয়েছেন, কৃষকরা সেভাবে পরিচর্যা করেছেন। এ কারণে ফলন ভালো হয়েছে। সরকারি প্রণোদনায় আগের মৌসুমের চেয়ে এবার দ্বিগুণ জমিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ হয়েছে।

গোলাম সাকলাইন বলেন, চারা উৎপাদনের জন্য জুলাই মাসে বীজতলা প্রস্তুত করতে হয়। চারার বয়স ৪০-৪৫ দিন হলে রোপণ করতে হবে। ১১৫-১২০ দিনের মধ্যে চাষিরা পেঁয়াজ তুলতে পারবেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা স্মৃতি রানী সরকার বলেন, দুই মৌসুম ধরে এ অঞ্চলে এ পেঁয়াজ চাষে কৃষকদের ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার। এখানকার আবহাওয়াও চাষ উপযোগী। কৃষকরাও সঠিক নিয়মে পরিচর্যা করায় উৎপাদন ভালো হচ্ছে। এ সময় বাজারে পেঁয়াজের চাহিদা বেড়ে যায়। ফলে দাম ভালো পেয়ে উৎপাদনে আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকরা।

(ঢাকাটাইমস/১২ডিসেম্বর/জেডএম)