কুবিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন
প্রকাশ | ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৪:২৬
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শোক র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।
এরপর শহীদ মিনার ও বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় হল শাখা ছাত্রলীগ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যের পাদদেশে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
নৃবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক অমিত দত্তের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচন সভায় অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, জাতিকে মেধা শূন্য করার জন্য বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছি।' আমরা জাতি গঠনে জীবন দেওয়া এই বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে এখানে এসেছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ- উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, পাক হানাদার বাহিনী পরাজয় নিশ্চিত জেনে বাংলার সূর্য সন্তানদের হত্যা করেছে। স্বাধীনতার পর যারা বাঙালিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে তাদেরকে তারা হত্যা করেছে। এই হত্যাযজ্ঞের পিছনে ছিল বাঙালিকে মাথা তুলে দাঁড়াতে না দেয়ার বিশাল ষড়যন্ত্র। তিনি বলেন, শহিদ বুদ্ধিজীবীদের আদর্শকে ধারণ করতে পারলে সত্যিকার অর্থে আমরা সোনার বাংলা গড়তে পারব।'
আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সব সময় বুদ্ধিজীবীদের প্রতি সদয় ছিলেন। তিনি বলেন, বুদ্ধিজীবীদের ত্যাগ এবং আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে দেশের উন্নয়নে কাজ করতে হবে। দেশকে ভালোবাসি শুধু মুখে না বলে কাজে কর্মে দেখাতে হবে। তার মতে, বাহ্যিকভাবে এ দিবস পালন না করে অন্তরে ধারণ করা উচিত। শুধু বাংলাদেশেই নয়, দেশের বাইরেও বুদ্ধিজীবী দিবস উদযাপন করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।'
অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মুহ.আমিনুল ইসলাম আকন্দ বলেন, 'বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করার মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশ যেনো এগিয়ে যেতে না পারে। তাই বিজয়ের দুই দিন আগে এ হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করা হয়।
এছাড়াও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/১৪ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/পিএস)