প্রহসনের নির্বাচন করে পতন ঠেকাতে পারবে না সরকার: এবি পার্টি

প্রকাশ | ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৬:২৬ | আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৬:৪৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নৃশংসভাবে হত্যা করেও যেমন মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয় ঠেকানো যায়নি তেমনই বর্তমান স্বৈরাচারী সরকার গুম, খুন ও সন্ত্রাসের মাধ্যমে প্রহসনের নির্বাচন করেও নিজেদের পতন ঠেকাতে পারবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)।

বৃহস্পতিবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভে ফুলেল শ্রদ্ধাজ্ঞাপনকালে একথা বলেন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার।

এর আগে নেতাকর্মীরা বিজয় নগরস্থ এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে শোক ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। দলের নেতাকর্মীরা কালো পতাকা হাতে কেন্দ্রীয় দপ্তরে জড়ো হন। তারা ১৪ ডিসেম্বর ও মহান মুক্তিযুদ্ধে শাহাদাতবরণকারী বুদ্ধিজীবী ও বীরমুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে দোয়া, প্রার্থনা ও শ্রদ্ধাভরে তাদের অবদান স্মরণ করেন। কেন্দ্রীয় অফিস থেকে শোকাহত নেতাকর্মীরা পরে রায়েরবাজার বধ্যভূমি অভিমূখে রওয়ানা হন। শোক মিছিল সহকারে তারা বধ্যভূমির স্মৃতিস্তম্ভে ফুলেল শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

ফুলেল শ্রদ্ধাজ্ঞাপনকালে সমবেত জনতার উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার ও সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু।

প্রফেসর ডা. মেজর অব. আব্দুল ওহাব মিনার বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদাররা যখন দেখলো তাদের পরাজয় অবধারিত তখন তারা কাপুরুষোচিত কায়দায় রাতের অন্ধকারে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে আমাদের মনোবল ভেঙ্গে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু এই নৃশংসতা উল্টা তাদের নৈতিক পরাজয় ডেকে এনেছে। সেদিনকার বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড বাংলার মানুষকে আরও বেশি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করেছিল।

তিনি বলেন, বর্তমান স্বৈরাচারী সরকার পাকিস্তানি শোষকদের মতো একই পদ্ধতিতে গুম, খুন, গ্রেপ্তার ও ভয়-ভীতি দেখিয়ে গণতন্ত্রকামী মানুষকে দমন করতে চায়। তারা মনে করেছে তাদের দুর্নীতি, লুটপাট ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে সব আওয়াজকে তারা থামিয়ে দেবে।

মিনার সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলেন, বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেও বাংলার মানুষের বিজয় ঠেকানো যায়নি, প্রহসনের নির্বাচনও স্বৈরতন্ত্রের পতন ঠেকাতে পারবে না ইনশআল্লাহ।

শোক ও শ্রদ্ধাজ্ঞাপনকালে দলীয় নেতৃবৃন্দের মাঝে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির সিনিয়র সহকারী সদস্যসচিব আনোয়ার সাদাত টুটুল, যুবপার্টির আহ্বায়ক এবিএম খালিদ হাসান, মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইন,  সহকারী সদস্য সচিব এস এম আক্তারুজ্জামান, হাদিউজ্জামান খোকন, উত্তরের সদস্য সচিব ফিরোজ কবির, দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হালিম খোকন, যুগ্ম সদস্য সচিব সফিউল বাসার, কেফায়েত হোসেন তানভীর, ছাত্রপক্ষের আহবায়ক মোহাম্মদ প্রিন্স, সহকারী অর্থ সম্পাদক সুমাইয়া শারমিন ফারহানা, যুবপার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব মাসুদ জমাদ্দার রানা, সুলতানা রাজিয়া, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সেলিম খান, রুনা হোসাইন, শাহীনুর আকতার শীলা, আফ্রিদ হাসান তমাল, ফেরদৌসী আক্তার অপি, আব্দুর রব জামিল, আমানুল্লাহ সরকার রাসেল, পল্টন থানা আহ্বায়ক আব্দুল কাদের মুন্সি, যাত্রাবাড়ী থানা সমন্বয়ক সিএম আরিফসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

(ঢাকাটাইমস/১৪ডিসেম্বর/এআর)