শীতের মৌসুমে যেসব খাবার বাচ্চাদের রোগব্যাধিতে মহৌষধ

প্রকাশ | ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:২২

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা টাইমস

শীত পড়তেই হানা দিচ্ছে একাধিক ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া। এসব জীবাণু কিন্তু বড়দের তুলনায় ছোটদের উপরই বেশি আক্রমণ শানাচ্ছে। তাই এই সময়টায় ছোট্ট সোনার স্বাস্থ্যের দিকে একটু নজর দিতেই হবে। নইলে বিপদ বাড়বে বড়দেরও।
তবে খুশির খবর হলো, শীত আসতেই বাজার সেজে উঠেছে সাতরঙা ফল, শাক ও সবজিতে। এসব শাক-সবজি এবং ফলই হলো পুষ্টির ভাণ্ডার। ছোট্ট সোনাকে প্রতিদিন এসব প্রাকৃতিক খাবার খাওয়ালে রোগব্যাধিকে দূরে রাখা সম্ভব হবে।
তাই আর সময় নষ্ট না করে শীতের এমন পাঁচটি খাবার সম্পর্কে জেনে নিন, যেগুলো শীতে ছোটদের রোগব্যাধি তাড়াতে মহৌষধের সমান। তারপর যত দ্রুত সম্ভব এসব খাবার শিশুর ডায়েটে জুড়ে দিন। ব্যস, তাহলেই কেল্লাফতে।
গাজর খাওয়াতে ভুলবেন না
আমাদের পরিচিত গাজরে রয়েছে ভিটামিন এ-এর ভাণ্ডার। এই ভিটামিন চোখের জ্যোতি বাড়ানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। শুধু তাই নয়, এই ভিটামিনের গুণে রক্তে শ্বেত রক্ত কণিকার সংখ্যাও বহুগুণে বাড়ে। 
ফলে অচিরেই চাঙ্গা হয়ে ওঠে ইমিউনিটি। তাই বাচ্চার স্যালাডে গাজর রাখতে ভুলবেন না যেন। এমনকি তাকে কয়েকদিন অন্তর অন্তর গাজরের হালুয়া বানিয়েও খাওয়াতে পারেন। আশা করছি, তাতেই উপকার পাবেন হাতেনাতে।
পালং শাকই সর্বশ্রেষ্ঠ
শীত পড়তেই বাজারে ভিড় জমিয়েছে পালং শাক। এই শাক হলো সুপারফুড। কারণ এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, ক্যালশিয়ামসহ একাধিক জরুরি উপাদান। তাই ছোট্ট সোনার দেহে পুষ্টির ঘাটতি মিটিয়ে ফেলতে চাইলে প্রতিদিন ডায়েটে পালং রাখতেই হবে। 
এমনকি এই শাকে মজুত থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর কাজেও সিদ্ধহস্ত। তাই সন্তানকে শীতে সুস্থ রাখতে চাইলে তাকে নিয়মিত পালং শাকের পদ খাওয়াতে ভুলবেন না যেন!
সেরার সেরা ব্রকোলি
সারা পৃথিবীর তাবড় পুষ্টিবিজ্ঞানীরা এই সবজির গুণগান গেয়ে চলেন। তাদের কথায়, এই সবজিতে রয়েছে অত্যন্ত উপকারী ভিটামিন এবং খনিজের ভাণ্ডার। এমনকি ব্রকোলি হলো কার্যকরী কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের আঁতুরঘর, যা দেহে প্রদাহের প্রকোপ কমানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। 
তাই শীতের এই ঋতুতে সন্তানের পাতে যত দ্রুত সম্ভব ব্রকোলির পদ জুড়ে দিন। তাতেই তার স্বাস্থ্যের হাল বদলে যাবে।
কমলা লেবুই মহৌষধ
শীতের শুরুর দিন থেকেই বাজারে কমলা লেবুর মেলা বসেছে। এই সুযোগে ছোট্ট সোনাকে প্রতিদিন একটা করে কমলা লেবু খাওয়াতে ভুলবেন না। এই কাজটা করলেই তার দেহে ভিটামিন সি-এর ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব হবে। তাতেই চাঙ্গা হবে বাচ্চার ইমিউনিটি। সে একাধিক ছোট-বড় রোগের ফাঁদ এড়িয়ে যেতে পারবে।
লেটুস শাকের জুড়ি মেলা ভার
আমাদের অতি পরিচিত লেটুস শাকে রয়েছে একাধিক পুষ্টিকর উপাদানের ভাণ্ডার। এমনকি এই শাক হলো উপকারী কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের আঁতুরঘর। তাই ছোট্ট সোনাকে এই ঋতু থেকেই একাধিক লেটুস শাকের পদে অভ্যস্ত করে তুলুন। 
এই কাজটা করতে পারলেই কোনো শারীরিক সমস্যাই সন্তানকে আর ব্যতিব্যস্ত করতে পারবে না। সে একদম সুস্থ-সবল জীবনযাপন করতে পারবে। দুশ্চিন্তা কমবে অভিভাবকদেরও, যারা সবসময় সন্তানের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে ভাবেন।
(ঢাকাটাইমস/১৬ডিসেম্বর/এজে)