পালিয়ে বিয়ে, মেয়ের বাবার অপহরণ মামলায় প্রেমিক আটক

প্রকাশ | ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৮:০৫ | আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৮:২৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, সুনামগঞ্জ

গাজীপুরের মেয়ে সিনাতুল হিয়াম আকলিমা ওরফে জিনাতুল বেগম (২০)। মা-বাবার অমতে একই এলাকার দরিদ্র পরিবারের ছেলে মো. সুমন শেখের (২৩) সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তা মানতে পারেনি জিনাতুলের পরিবার। তাই প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে বিয়ে করে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে সুখের সংসার করছিল তারা। কিন্তু সেই সুখ সইল না তাদের কপালে। মেয়ের বাবা থানায় গিয়ে মেয়ে নিখোঁজ হয়েছে এমন একটি জিডি করেন। জিডির পর করা হয় অপহরণ মামলা।

সেই মামলার সূত্র ধরে তাহিরপুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় মেয়েকে স্বামীসহ আটক করে গাজীপুর জেলার পূবাইল থানা পুলিশ।

রবিবার দিনগত রাত সাড়ে ১২টায় মেয়ের মা-বাবা ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের বাদলারপাড় গ্রামের একটি বাড়ি থেকে তাদের আটক করে। 

আটক প্রেমিক মো. সুমন শেখের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাজধানীর গাজীপুর জেলার পূবাইল থানা এলাকার মেয়ে ও একেই এলাকার ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ঘরে ওঠে। এই প্রেমের সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি মেয়ের মা-বাবা। বাধা দিয়েও মেয়েকে ফেরাতে পারেনি। পরে ছেলে ও মেয়ে একদিন কাউকে না জানিয়ে সবার অগোচরে পালিয়ে যায় সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের বাদলারপাড় গ্রামে। সেখানে বিয়ে করে সংসার শুরু করে। এদিকে মেয়ের পরিবার মেয়ে নিখোঁজ হয়েছে দাবি করে গাজীপুর থানায় জিডি করে। এই জিডির খবর জানতে পেরে মেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে নিজের আইডিতে ভিডিওতে জানায়, সে নিজেই তার প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছে। তাকে কেউ অপহরণ করেনি। এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মেয়ের মা-বাবার চোখে পড়লে মেয়ের মা-মেয়েকে ফোন দিয়ে বলে এ নিয়ে কোনো ঝামেলা তারা করবে না। সে যেন স্বামী ছাড়া বাড়ি চলে আসে, কিন্তু মেয়ে রাজী না হলে মেয়ের মা জানায় আর জীবনে যেন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ না করে সে। মেয়েও জানিয়ে দেয় তারাও যেন আর যোগাযোগ না করে। এরপর এভাবেই চলে যায় কয়েক মাস। 

পরে অপহরণ মামলায় তাহিরপুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় তাদের আটক করে গাজীপুরের পুলিশ। 

তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন জানান, গাজীপুর থানায় অপহরণ মামলায় আমাদের সহযোগিতা নিয়ে তাদের আটক করা হয়েছে। রাতেই গাজীপুরের উদ্দেশে রওনা হয় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। যদি মেয়েকে অপহরণ করা না হয়, এটি যদি মেয়ে আদালতে প্রমাণ দেখাতে পারে তাহলে সমাধান হবে।

পূবাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান আটককের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ভিক্টিমসহ আটককৃতদের ঢাকায় আনা হচ্ছে তবে এখনও থানায় এসে পৌঁছায়নি। আসার পর তাদের আদালত পাঠানো হবে। 

(ঢাকাটাইমস১৮ডিসেম্বর/এআর)