পাবনায় স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ‘অবরুদ্ধ’, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন

প্রকাশ | ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৭:২৯ | আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৭:৫৩

পাবনা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

পাবনা-১ (সাঁথিয়া ও বেড়া আংশিক) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক আবু সাইয়িদের নির্বাচনি প্রচারণায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এ সময় অধ্যাপক আবু সাইয়িদকে প্রায় ২ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরে সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আলপনা ইয়াসমিনের  নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার বোয়াইলমারী বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

এ সময় সেখানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়।

অধ্যাপক আবু সাইয়িদ অভিযোগ করে জানান, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে সাঁথিয়া উপজেলায় নির্বাচনী প্রচারণার উদ্দেশ্যে কয়েকটি গাড়ি নিয়ে বের হন। পথিমধ্যে বোয়াইলমারী বাজার এলাকায় জনসংযোগ চলাকায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা সেখানে উপস্থিত হয়ে সাইয়িদ বিরোধী স্লোগান দিতে শুরু করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। 

এ সময় সাঁথিয়া পৌর মেয়র মাহবুবুল আলম বাচ্চু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানা খোকন ও বেড়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মেজবাহ মোল্লার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা অধ্যাপক আবু সাইয়িদের প্রচারণায় বাধা দেন এবং তাকে চলে যাওয়ার জন্য স্লোগান দিতে থাকেন। 
 

পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বিপুল পরিমাণ পুলিশ ও ডিবি পুলিশ মোতায়েন করা হয়। আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা উভয় গ্রুপকে ঘিরে রাখে। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে সাঁথিয়া উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার আল্পনা ইয়াসমিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে উভয়দলকে সরিয়ে দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

এ সময় অধ্যাপক আবু সাঈদের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ও বেড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুল বাতেন বলেন, সরকার ও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন নিরপেক্ষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু আপনারা আজকে দেখলেন কীভাবে আমাদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এটিকে কি নির্বাচনে স্বাভাবিক পরিবেশ বা নিরপেক্ষ পরিবেশ বলে? 

এ বিষয়ে সাঁথিয়া উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান সোহেল রানা খোকন বলেন, নির্বাচনের প্রচারণায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ সত্য নয়। আজকে নৌকার প্রার্থী শামসুল হক টুকুর নির্বাচনি প্রোগ্রাম ছিল। সেই প্রোগ্রামকে বাধাগ্রস্ত করতেই অধ্যাপক আবু সাঈদ আজকে এই এলাকায় এসেছিল। তারাই আমাদের মিছিলের সামনে গাড়ি রেখে বাধাগ্রস্ত করেছিল।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা  মু. আসাদুজ্জামান মুঠোফোনে জানান, আমি বিষয়টি শুনেছি। নির্বাচনি প্রচারণায় বাধা দেওয়ার অধিকার কারো নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৯ডিসেম্বর/এআর)