জমি দখল-হয়রানির অভিযোগ পিবিআইয়ের ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে, থানায় জিডি
প্রকাশ | ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৩:২৯
কেনা ও ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া অন্যের জমি দখল এবং বিভিন্ন হয়রানিসহ প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে পিবিআইয়ের ইন্সপেক্টর আওলাদ হোসেনের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে সোমবার ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে (ক্র্যাব) সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী মো. জালাল সোহাব উদ্দিন।
জালাল মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান থানার চরপানিয়া গ্রামের মৃত সুখাই মিয়ার ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে জালাল বলেন, ‘১৯৭৮ সালে কেনা ও ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া আমাদের মালিকানার জমি চলতি বছর দখল করে নেয় স্থানীয় একটি কুচক্রী মহল। আর এই অপকর্মের নেপথ্যে কাজ করেছেন পিবিআইয়ের ইন্সপেক্টর আওলাদ হোসেন। তার ইন্ধনেই ওই কুচক্রী মহল আমাদের তিনপুরুষের জমি অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা তিন ভাই সিরাজদিখান থানা এলাকার বালুচর ইউনিয়নের চরপানিয়া মৌজার আরএস খতিয়ান নং-০৩, আরএস ২৬৯/২৭২, ৬০৯ দাগের ৪২১ শতাংশ কাতে ১৯৬ শতাংশ জমি ১৯৭৮ সালে খরিদ করি। খরিদ সূত্রে ওয়ারিস মালিক হয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভোগ দখল করে আসছিলাম। ভোগদখলে থাকা অবস্থায় ৮ মাস আগে স্থানীয় আবুল হোসেন, জাকির হোসেন, আওলাদ হোসেন, মহিউদ্দিন আমাদের সম্পত্তি দখল করার পাঁয়তারা শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১০ ডিসেম্বর বিকাল ৩টার দিকে আমাদের জমিতে এসে জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করে। তখন আমরা তিন ভাই ও ভাতিজারা মিলে জমির কাছে এসে তাদেরকে আমাদের জমি থেকে চলে যেতে বললে তারা উল্টো আমাদেরই বিভিন্ন হুমকি দেওয়া শুরু করে এবং বিভিন্নভাবে ভয়ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়।’
এবিষয়ে ১১ ডিসেম্বর সিরাজদিখান থানায় পিবিআইয়ের ইন্সপেক্টর আওলাদ হোসেন ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে আদালতে দুটি মামলা বর্তমানে চলমান আছে বলেও জানান জালাল।
এ বিষয়ে পিবিআইয়ের ইন্সপেক্টর আওলাদ হোসেন ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আমি জালাল নামের কাউকে চিনি না। তবে গ্রামে আমাদের সঙ্গে একপক্ষের জমি নিয়ে বিরোধ আছে। সেই বিষয়ে আদালতে মামলা চলছে। আদালতে প্রমাণ হবে জমি কার। আমি কাউকেই কোনো হুমকি দিইনি। আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা মিথ্যা। যদি থানায় জিডি হয় তাহলে তদন্ত হবে।’
(ঢাকাটাইমস/২৫ডিসেম্বর/এইচএম/এফএ)