আত্রাইয়ে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে আলু চাষ

প্রকাশ | ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৪:০৮

আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস

উত্তরাঞ্চলের শস্যভাণ্ডার খ্যাত নওগাঁর আত্রাই উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে আলু চাষ। বাম্পার ফলনের সঙ্গে ভালো লাভের স্বপ্ন দেখছেন চাষিরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি রবিশস্য মৌসুমে উপজেলার ৮ ইউনিয়নে দুই হাজার ৭শ ২০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে আলুর আবাদ হয়েছে।

ইতোমধ্যে আলু চাষে ছেয়ে গেছে উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠ। রঙিন স্বপ্নে বিভোর চাষিরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করছেন মাঠে। রোপা-আমন ধান কাটার সঙ্গে সঙ্গে রবিশস্যের উপযোগী চাষযোগ্য জমিতে আগাম জাতের আলু চাষ করেছেন কৃষকরা। 

সরকারিভাবে বিনামূল্যে কৃষি উপকরণসহ সার ও বীজ বিতরণ করায় আগাম আলু চাষ সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন আলু চাষিরা।
কৃষকদের সাথে ব্যস্ততা বেড়েছে কৃষি বিভাগেরও। মাঠ পর্যায়ে আলু চাষিদের কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে যথাযথ পরামর্শ ও প্রত্যক্ষ কারিগরি সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। 

এদিকে চলতি রবিশস্য মৌসুমে কোনো প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ হানা না দেওয়ায় এবং অনুকূল পরিবেশ থাকায় আলুর পাশাপাশি সরিষা, গম ও ভুট্টার বাম্পার ফলনের সম্ভবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
উপজেলার শাহাগোলা, ভোঁপাড়া, মনিয়ারী ও আহসানগঞ্জ ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি আলু চাষ হয়েছে বলে কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে।
উপজেলার রসুলপুর গ্রামের কৃষক মুনিরুল ইসলাম জানান, আমি এ বছর ৫বিঘা জমিতে আলুর চাষ করেছি। হিমাগারে কিছু বীজ রেখেছিলাম আর বাকিটা কিনে জমিতে বপন করেছি। আলু গাছ ভালো হওয়ায় মনে হচ্ছে এবার আলুর বাম্পার ফলন হবে। 

উপজেলার বজ্রপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল মজিদ জানান, দুর্যোগ ও রোগবালাই না থাকায় এ বছর আলুর বাম্পার ফলন পাবো বলে আশা করছি।

উপজেলার তারাটিয়া ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহিদ হাসান বলেন, শুরুতেই আলুর ক্ষেতে নানা ধরনের পোকা-মাকড়ের আনাগোনা দেখা দিলেও মাঠ পর্যায়ে আমরা কৃষকদের যথাযথ পরামর্শ ও প্রত্যক্ষ কারিগরি সহযোগিতা দেওয়ায় বর্তমানে আলু ক্ষেত শতভাগ রোগ-বালাই মুক্ত রয়েছে।

উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের শলিয়া ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কে এম মাহাবুব বলেন, যথা সময়ে জমি আলু চাষ যোগ্য হওয়ায় এলাকার কৃষকেরা সুযোগ বুঝে আলুর আবাদ করেছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের যথাযথ পরামর্শ ও পরিচর্যার বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে কোন ক্ষতি না হলে এবার আলুর বাম্পার ফলন হবে।

আত্রাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তাপশ কুমার রায় বলেন, এবার আত্রাই উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে বিগত বছরের তুলনায় সবচেয়ে বেশি পরিমাণ আলু চাষ হয়েছে। যথা সময়ে জমি চাষযোগ্য হওয়ায় এলাকার কৃষকরা সুযোগ বুঝে আলুর আবাদ করেছে। আলুর রোগ দমনসহ কৃষকদের কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে যথাযথ পরামর্শ ও পরিচর্যার বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/২৬ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/পিএস)