কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস
কুড়িগ্রামে গত চারদিন ধরে শীতের দাপট বেড়েই চলেছে। বুধবার সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দিনের বেশির ভাগ সময় মিলছে না সূর্যের দেখা। উত্তাপ নেই সূর্যের, বৃদ্ধি পেয়েছে ঠান্ডার মাত্রা। এদিকে ঘন কুয়াশা বেড়ে যাওয়ায় ও কনকনে ঠান্ডার কারণে বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী ও নিম্নআয়ের মানুষ।
সাহেবের আলগারচরের কৃষক বোরকান বলেন, ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীত, কাজে বের হলে হাত-পা হীম (বরফ) হয়ে যায়। গরিব মানুষ কাজ না করলে তো আমাগো চলবো না। যত কষ্টই হোক কাজে যাওন লাগে।
সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়ন নৌকা ঘাটের নৌকা চালক মোসলেম উদ্দিন জানায়, শীতের কারণে দশ হাত দূরের কোনোকিছু দেখা যায় না। এ অবস্থায় নৌকা চালাতে অসুবিধা হয়। এক ঘণ্টা দূরত্বের নৌপথ যেতে দেড় ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। শীতে চলতে-ফিরতে খুব সমস্যা।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি ও আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর থেকে শৈত্যপ্রবাহ বইতে পারে বলে জানান তিনি।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. সাইদুল আরীফ বলেন, কুড়িগ্রামের ৯টি উপজেলায় ইতোমধ্যে নগদ অর্থসহ ৩৯ হাজার ৫০০ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত কম্বল রয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়নগুলোর চাহিদার ভিত্তিতে কম্বল বিতরণ করা হবে।
(ঢাকাটাইমস/০৩জানুয়ারি/প্রতিনিধি/জেডএম)