নতুন বছরে নির্বাচনি ইশতেহার এবং এগিয়ে যাওয়া

প্রকাশ | ০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:০২

অধ্যাপক ড. অরুণ কুমার গোস্বামী

‘পরিবর্তন’-কে জীবনের একমাত্র ‘ধ্রুবক’ হিসেবে গণ্য করে গ্রিক দার্শনিক হেরাক্লিটাস বলেছেন- ‘সবকিছু পরিবর্তিত হয় এবং কিছুই স্থির থাকে না এবং কেউ একই স্রোতে দুবার পা রাখতে পারেন না।’ পরিবর্তনের এই চিরন্তন ধারা অনুযায়ী আমাদের জীবন থেকে ২০২৩ বিদায় নিয়ে ২০২৪-এর যাত্রা শুরু হলো। গণতন্ত্রের অন্যতম অনুষঙ্গ হিসেবে বিবেচিত ‘ভোটিং’ (ভোট দেওয়া, ভোট নেওয়া) তথা নির্বাচনের জন্য ২০২৪ সাল একটি ঐতিহাসিক বছর। নতুন বছরসহ আগামী বছরগুলোতে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সরকার গঠনের লক্ষ্যে বিশ্বের ৭৮টি দেশের সাথে ২০২৪ সালে বাংলাদেশেও জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। গত ৬ই ডিসেম্বর ২০২৩ ওয়াশিংটনভিত্তিক সংস্থা আটলান্টিক কাউন্সিলের প্রকাশনায় এ সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ করে বলা হয়েছে ২০২৪ সালে বিশ্বের ৭৮টি দেশে ৮৩টি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৪২০ কোটিরও বেশি মানুষ অংশ নেবে ২০২৪-এর বিভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠিত এই ভোট উৎসবে। সুতরাং ২০২৪ হচ্ছে এমন একটি নির্বাচনি বছর যা অতীতে কখনও আসেনি এবং আগামী ১০০ বছরের মধ্যেও আসবে না বলে মনে করছে আটলান্টিক কাউন্সিল। এই ৭৮টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশেই এ বছরের প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর সেই নির্বাচন হচ্ছে বহুল আলোচিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনের মাধ্যমেই নির্ধারিত হবে বাংলাদেশ ‘গো ফরওয়ার্ড’ অর্থাৎ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে না কি ‘টেক ব্যাক’ মানে পশ্চাৎমুখী হবে? অতীত অভিজ্ঞতা অনুযায়ী বাংলাদেশের পশ্চাৎমুখী মানে হচ্ছে পাকিস্তানমুখী হওয়া।
অতএব ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের শেষ দিনে অনুষ্ঠেয় নির্বাচন বাংলাদেশের ‘এগিয়ে যাওয়া’র জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষত ২০২৪ সালব্যাপী বিশ্বের ৭৮টি দেশে এই নির্বাচনি ধারার ঐতিহাসিক স্রোত ‘প্রতিহত’ করার ‘সাধ’ থাকলেও ‘সাধ্য’ কারোই নেই। ভিন্ন ‘সময় ও ক্ষেত্রের’ পরিপ্রেক্ষিতে যেমন অতীতে ১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনের ফলাফল এবং এর ভিত্তিতে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বিজয় রুখে দেওয়ার ‘সাধ’ জামায়াতে ইসলামীর ছিল। কিন্তু তাদের     ‘সাধ্যে’ কুলায়নি। যদিও ‘সাধ’ মিটাতে তাদের ‘সাধ্য’ অনুযায়ী তারা চেষ্টাও করেছে কিন্তু সফল হতে পারেনি। পরিশেষে তারা পরাজয় মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে!
যুগের পরিবর্তনে ভিন্ন আঙ্গিকে বিএনপি-জামায়াত জোট এখন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রতিহত করার জন্য জ্বালাও পোড়াও করে মানুষ হত্যা এবং যানবাহনের ক্ষতি সাধন করেই যাচ্ছে! তাদের ডাকে সাড়া না দেওয়ার কারণেই সব শ্রেণির মানুষের উপর তারা নির্বিচারে প্রতিশোধ নিচ্ছে! কিন্তু বাংলাদেশকে পিছিয়ে দেওয়ার সাধ্য কারও নেই। এগিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে উন্নত ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্যেই জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে ধর্মীয় ঔপনিবেশিক রাষ্ট্র পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীনতালাভ করেছে। আর এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগের সভাপতি দেশরত্ন শেখ হাসিনা গত ২৭শে ডিসেম্বর ২০২৩ প্যানপ্যাসিফিক সোনার গাঁ হোটেলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ঘোষণা করেছেন আওয়ামী লীগের মেনিফেস্টো বা ইশতেহার। একটি মেনিফেস্টো বা ইশতেহার হলো ইস্যুকারীর উদ্দেশ্য, আ্যপ্রোচ বা দৃষ্টিভঙ্গির একটি প্রকাশিত ঘোষণা- তা সে ব্যক্তি, গোষ্ঠী, রাজনৈতিক দল বা সরকারই যেই হোক না কেন। 
 দীর্ঘ ১৫ বছরের শাসনামলে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের মানুষের কাছে দেওয়া অনেক অঙ্গীকার পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে। আওয়ামী লীগ তার নির্বাচনি অঙ্গীকার পূরণ করেছে বলেই বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে, জেল হত্যার বিচার হয়েছে, যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার হয়েছে এবং হচ্ছে। পদ্মা সেতু, মেট্রো রেল চালু হয়েছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র, এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ, পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ, দোহাজারী-রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু-মিয়ানমারের কাছে ঘুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্প প্রভৃতি মেগা প্রকল্পগুলো সম্পন্ন হয়েছে।
পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও বর্তমান সরকারের সাফল্য সমগ্র বিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভ করেছে। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল বিশ্বের উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিত। দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা মোকাবিলা, দারিদ্র্য দূরীকরণে দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী সফলতা অর্জন করেছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ। এজন্য বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সংস্থা ও রাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে সম্মাননা প্রদান করেছে। এইসব সফলতার ধারাবাহিকতা বজায় থাকলেই কেবল ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে।


আগামী ৭ই জানুয়ারি টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠনের লক্ষ্য সামনে রেখে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করা হয়েছে । ২০৪১-সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে চার মূল স্তম্ভ হিসাবে স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট প্রশাসন, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সমাজ গঠনের প্রতিশ্রুতি ইশতেহারে রয়েছে। ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উত্তরণ করার অঙ্গীকারে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ উন্নয়ন দৃশ্যমান বাড়বে এবার কর্মসংস্থান’ স্লোগান নিয়ে ইশতেহার ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ। 
 ইশতেহারে যেসব বিষয় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত করা, সাংবাদিকদের জন্য দশম ওয়েজ বোর্ড দেয়া, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হবে, স্থানীয় সরকারের দায়িত্ব বিভাজন স্পষ্ট করা হবে, খেলাপি ঋণ আদায়ে কঠোর আইন প্রয়োগ করা হবে, খেলাপি ও দুর্নীতিবাজদের অবৈধ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে, দেশের উন্নয়নে তরুণ ও যুব সমাজকে সম্পৃক্ত করা, কৃষি ভর্তুকি অব্যাহত রাখা, ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করার কথা বলা হয় এই ইশতেহারে। 
ইশতেহারে জাতীয় উন্নয়নের সঙ্গে সংগতিপূর্ণভাবে ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০-এর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে চরম দারিদ্র্য দূরীকরণ ও উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জন এবং ২০৪১ সাল নাগাদ একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশের মর্যাদা অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করে যাবে। ইশতেহারে সর্বজনীন পেনশনে সবাইকে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে, প্রত্যেক নাগরিকের ইউনিক হেলথ আইডি দেওয়ার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে, মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় অসংগতি দূর অব্যাহত থাকবে।
জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন: সংখ্যালঘুদের স্বার্থ সুরক্ষার জন্য জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন এবং সংখ্যালঘু বিশেষ সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করার কথা আওয়ামী লীগের ইশতেহারে বলা হয়। ধর্মীয় সংখ্যালঘু, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও অনগ্রসর সম্প্রদায়ের জীবন ও জীবিকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আবশ্যক পদক্ষেপ নেওয়া অব্যাহত রাখবে। উল্লেখ্য, গত ২০১৮ সালের নির্বাচনি ইশতেহারে দেওয়া আওয়ামী লীগের অঙ্গীকারের মধ্যে ছিল সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, বৈষম্য বিলোপ আইন প্রণয়ন, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইনের দ্রুত বাস্তবায়ন, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের অধিকারের স্বীকৃতি এবং তাদের ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও জীবনাধারার স্বাতন্ত্র্য সংরক্ষণ, সমতলের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য ভূমি কমিশন, অনগ্রসর ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী, দলিত ও চা শ্রমিকদের জন্য শিক্ষা ও চাকরিতে বিশেষ কোটা ও সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা ইত্যাদি।
এসব নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে গত ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২৩, শুক্রবার সকাল ছয়টা থেকে গণঅনশন ও গণঅবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছিল বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ। এই কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দিয়েছিলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারাসহ এবং নানা শ্রেণিপেশার মানুষ। ২২শে সেপ্টেম্বর সারা দিন ও রাতে শহীদ মিনারে অবস্থান করেন ঐক্য পরিষদের নেতাকর্মীরা। এই কর্মসূচি রোববার ২৪শে সেপ্টেম্বর ২০২৩-এর সকাল ছয়টা পর্যন্ত চলার কথা ছিল। তবে আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায় থেকে ধারাবাহিকভাবে দাবি পূরণের আশ্বাস পেয়ে ২৩শে সেপ্টেম্বর ২০২৩, শনিবার কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয় ঐক্য পরিষদ। পূর্বে ২০১৮ সালের নির্বাচনি ইশতেহারে ঘোষিত প্রতিশ্রুতি রক্ষার প্রত্যয় নিয়ে এবার ২০২৪-এর নির্বাচনি ইশতেহারেও সংখ্যালঘু কমিশন এবং সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়নের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে।
এসবসহ আওয়ামী লীগ যে ১১টি বিষয়কে বিশেষ গুরুত্ব দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তা হলো- দ্রব্যমূল্য সবার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া, কর্মোপযোগী শিক্ষা ও যুবকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা, আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা, লাভজনক কৃষির লক্ষ্যে সমন্বিত কৃষি ব্যবস্থা, যান্ত্রিকীকরণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, দৃশ্যমান অবকাঠামোর সুবিধা নিয়ে এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করে শিল্পের প্রসার ঘটানো, ব্যাংকসহ আর্থিক খাতে দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করা, নিম্ন আয়ের মানুষদের স্বাস্থ্যসেবা সুলভ করা, সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় সবাইকে যুক্ত করা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকারিতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা, সাম্প্রদায়িকতা এবং সবধরনের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ রোধ করা এবং সর্বস্তরে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুরক্ষা ও চর্চার প্রসার ঘটানো। অনুষ্ঠানে পুস্তিকা আকারে প্রকাশিত নির্বাচনি ইশতেহারের চুম্বক অংশ তুলে ধরেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। অতীতে সরকার পরিচালনায় ভুল থাকতে পারে এমনটি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনের পথ নির্ধারণ করা হবে। 
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সামরিক স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে দলকে সুসংগঠিত করে, বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়ে তুলতে অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
এদেশের ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীসহ জনগণ আশা করে যে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভের মাধ্যমে পুনরায় সরকার গঠন করে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগই সংখ্যালঘুদের জন্য দেওয়া প্রতিশ্রুতিসহ সব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করবে। 
 

ড. অরুণ কুমার গোস্বামী: অধ্যাপক, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। পরিচালক, সেন্টার ফর সাউথ এশিয়ান স্টাডিজ, ঢাকা