জনগণের ‘নীরব ভোট প্রত্যাখ্যান’ সরকারের পরাজয়: ১২ দলীয় জোট

প্রকাশ | ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৫৮ | আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:০৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

আওয়ামী লীগের ‘ডামি’ নির্বাচনে জনগণের ভোট বর্জন ইতিহাসের মাইলফলক হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করে ১২ দলীয় জোটের শীর্ষনেতারা বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের এখনই নাকে খত দিয়ে পদত্যাগ করা উচিত। কারণ জনগণ ভোটকেন্দ্রে যায়নি। দেশের মানুষ এই জালিম সরকারকে লাল কার্ড দেখিয়ে দিয়েছে। তাই জনগণের নীরব ভোট প্রত্যাখ্যান জাতির বিজয় এবং ফ্যাসিবাদ সরকারের পরাজয়।’

নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘২০১৪ ও ২০১৮ সালের সেই ভোট ডাকাতির কলঙ্কজনক অধ্যায়ের পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। এই সরকার দেশ ও জনগণের জন্য একটি মহাবিপদ ডেকে এনেছে। তাই এই আওয়ামী ফ্যাসিবাদ সরকারের বিদায় না করা পর্যন্ত জনগণের মুক্তি আসবে না। আমরা শেখ হাসিনার পদত্যাগ, তত্ত্বাধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনসহ একদফার যুগপৎ আন্দোলন চালিয়ে যাব।’ 

এ সময় ভোট বর্জন, হরতাল ও গণকারফিউ পালন করায় দেশবাসীকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান ১২ দলীয় জোটের নেতারা। 

রবিবার দুপুরে প্রেসক্লাব, পল্টন এলাকায় শেখ হাসিনার পদত্যাগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে ১২ দলীয় জোট আয়োজিত হরতাল ও গণকারফিউর সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে বক্তব্যে এসব কথা বলেন। 

১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘আজকের কলঙ্কজনক দিন থেকে বাংলাদেশ বিশ্ব থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এই ভোটে দেশের মানচিত্র জাহান্নামে যাক, অর্থনীতি জাহান্নামে যাক, গণতন্ত্র জাহান্নামে যাক এই সরকারের কিছু আসে যায় না। তবে আজকে থেকে দেশে অর্থনৈতিক ভয়াবহ সংকট শুরু হবে। এই প্রহসনের নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশকে চরম মূল্য দিতে হবে।’ 

তিনি বলেন, ‘ভোটের হার খুবই নগণ্য, কিন্তু সন্ধ্যার সময় গণভবন থেকে ভোটের হার বৃদ্ধি করে বিজয়ীদের নাম নির্বাচন কমিশনে প্রেরণ করা হবে। নির্লজ্জ নির্বাচন কমিশন তাই পাঠ করে শোনাবে।’  

জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী খান আব্বাস বলেন, ‘শেখ হাসিনা ভুল পথে হাঁটতে শুরু করেছে। জনগণ এই সরকারকে প্রত্যাখ্যান করে ভোট দিতে যায়নি। কারণ এই সরকার ভোট চুরির মাধ্যমে আবারও ক্ষমতায় থাকতে চায়। আমরা শেখ হাসিনার পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকব।’

১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ভোট চুরির পুরোনো অভ্যাস বদলাতে পারেনি। এশার আজান দিয়ে তারা ভোট চুরি শুরু করেছে এবং তাহাজ্জুদ নামাজের আগেই ভোট ডাকাতি শেষ করেছে।’

তিনি বলেন, ‘জনগণ তাদের ভোট বর্জনের উচিত জবাব আওয়ামী লীগের মুখের ওপর বসিয়ে দিয়েছে। হরতাল ও গণকারফিউ জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালন করেছে। তাদের মনে রাখা উচিত বাংলার মজলুম মানুষেরা পরাজয় মানে না। ইনশাআল্লাহ জনগণের বিজয় সুনিশ্চিত।’

গণসংযোগ ও পদযাত্রা শেষে বক্তব্য রাখেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দীন পারভেজ, ইসলামী ঐক্যজোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আমিন।

(ঢাকাটাইমস/০৭জানুয়ারি/জেবি/এফএ)