সিদ্ধিরগঞ্জে ভুল চিকিৎসায় গর্ভের সন্তানের মৃত্যুর অভিযোগ 

প্রকাশ | ১০ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:৩৭

সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে এস আলম ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় এক নারীর গর্ভের সন্তানের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। 

এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে ওই নারীর স্বামী কাওছার মাহমুদ বাদী হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযুক্তরা হলেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ডা. বোরহানউদ্দিন, শহিদুল ইসলাম ও জহিরুল ইসলাম। 

বিষয়টি আজ সন্ধ্যায় নিশ্চিত করেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো: মোজাম্মেল হক। 

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সিদ্ধিরগঞ্জের পূর্ব কলাবাগ চেয়ারম্যান বাড়ির মো: কাওছার মাহমুদের স্ত্রী মাকসুদা আক্তার অন্ত:স্বত্তা হলে সিদ্ধিরগঞ্জ পুলস্থ এমএস টাওয়ারে এস আলম ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কর্মরত গাইনী ডাক্তার শারমীনের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা করান। ডাক্তার শারমীন ওই প্রতিষ্ঠানে মাকসুদা আক্তারকে বিভিন্ন সময় পরীক্ষা-নীরিক্ষা করেন। একপর্যায়ে মাকসুদার শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে তার স্বামী তাকে গত ৫ জানুয়ারি সকালে নারায়ণগঞ্জ খানপুর আল হেরা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। পরে ওইদিন বিকেলে মৃত সন্তান প্রসব হয়। 

মৃত সন্তান প্রসবের কারণ জানতে চাইলে হাসপাতালের ডা. বোরহান উদ্দিন কাওছার মাহমুদকে জানিয়েছেন, এস আলম ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রিপোর্ট পর্যালোচনা করে দেখা গেছে ডাক্তার রোগীকে ভুল চিকিৎসা দিয়েছেন। সে কারণে সন্তান কয়েকদিন আগেই মায়ের গর্ভে মারা গেছে। 

প্রতিষ্ঠানটির ডাক্তারের ভুল চিকিৎসা ও পরীক্ষা-নীরিক্ষার ভুল রিপোর্ট বিষয়ে জানতে ৯ জানুয়ারি বিকেল ৪ টায় কাওছার মাহমুদ এস আলম ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গেলে পরিচালক ডা. বোরহান উদ্দিন, শহিদুল ইসলাম ও জহিরুল ইসলাম তাকে বিভিন্ন হুমকি ধমকি ও খারাপ আচরণ করে একটি কক্ষে আটকে রাখে। খবর পেয়ে স্বজনরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী কাওছার মাহমুদ বলেন, আমার স্ত্রী সন্তান প্রসবের নির্ধারিত সময় পার হলেও রিপোর্ট ভুলের কারণে গর্ভেই সন্তানের মৃত্যু হয়। স্ত্রীর শারীরিক অবস্থা দেখে ডাক্তার শারমীন জানান, পেটে পানি জমে গেছে তাই বাচ্চা বড় দেখাচ্ছে। তার কথায় আস্থা রাখতে না পেরে স্ত্রীকে আল হেরা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করার পর ডাক্তার জানান, সন্তান আগেই গর্ভে মারা যায়। অন্তত ১ মাস আগে সন্তান প্রসবের তারিখ অতিবাহিত হয়ে যায়। আগের পরীক্ষার রিপোর্ট ভুল ছিল। আমি এ ঘটনার বিচার চাই। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এস আলম ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক শহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের রিপোর্ট ভুল নাকি আল-হেরা হাসপাতালের রিপোর্ট ভুল সেজন্য দুই ডাক্তারকে এক সাথে নিয়ে বসে রোগীর স্বামীকে যাচাই করতে বলি। কিন্তু তিনি বসার সুযোগ না দিয়ে সব দোষ আমাদের উপর চাপিয়ে দেন। এ নিয়ে আমাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছে। তাদের আটক করে রাখার অভিযোগটি সঠিক নয় বলে দাবি করেন তিনি।

এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মোজাম্মেল হক জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি। 

(ঢাকাটাইমস/১০জানুয়ারি/এআর)