বাংলাদেশের সৌন্দর্যে মুগ্ধতা ছড়ালো মিশরী তরুণীর কণ্ঠে
প্রকাশ | ১১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:২৯
সুদূর মিশর থেকে স্বামীর সঙ্গে বাংলাদেশে এসেছেন নুরহান। তবে বাংলাদেশে এটি তার প্রথম সফর নয়। এক বছর আগেও এসেছেন তিনি। তখন বিষয়টি জানাজানি না হলেও এবার জানাজানি হওয়ায় গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন নুরহান। প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিয়ে তার কণ্ঠে মুগ্ধতা ছড়িয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও পরিবেশ দেখে আমি খুবই মুগ্ধ।’
মোবারক হোসেন চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার চর দুঃখিয়া ইউনিয়নের আলোনিয়া গ্রামের মিজি বাড়ির মৃত মফিজুল ইসলামের ছেলে। তবে বর্তমানে সদর উপজেলার শহরতলি তরপুরচন্ডী গ্রামের পাটওয়ারী বাড়িতে বসবাস করছেন। এই বাড়িতেই স্ত্রী নুরহানকে নিয়ে উঠেছেন।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, মোবারক ২০০৮ সালে মিশরে পাড়ি জমান এবং ওই দেশের রাজধানী কায়রোর একটি পোশাক কারখানার কাজ নেন। থাকতেন নুরহানদের বাসার পাশে। বেশ কিছুদিন পর মোবারকের সঙ্গে পরিচয় হয় নুরহানের। পরিচয় থেকে তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। নুরহানের পিতা ফৌজি রমদান লিবিয়ার নাগরিক। তিনিও কাজের সুবাদে মিশরে বসবাস করেন। নুরহানের আচার আচরণ খুব ভালো বলে জানান তারা।
মোবারক হোসেনের মা জয়তুন নেছা বেগম জানান, আমার ছেলে ১৫ বছর ধরে মিশরে থাকে। ২০১৬ সালে বিয়ে করেছে। গত বছরও বউকে নিয়ে একবার বাড়িতে এসেছে। এখন আবার এসেছে। মেয়েটি খুব ভালো। নামাজ কালাম পড়ে। টুকটাক কাজকর্মও করতে পারে। ছেলের কাছ থেকে অল্প বাংলা শিখেছে। তারা উভয়ে ভালো আছে। কয়েকদিন পরে তারা মিশরে চলে যাবে বলে জানান তিনি।
নুরহান তার নিজের পরিচয় তুলে ধরে বলেন, আমার নাম নুরহান। মোবারকের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়েছে। মোবারক ও তার পরিবারের সদস্যরা খুবই ভালো। তাদের সঙ্গে থেকে আমার খুবই ভালো লাগছে। তারা আমার প্রতি খুবই যত্নবান।
মোবারক হোসেন জানান, ২০০৮ সালে আমি মিশরে যাই। সেখানে নুরহানদের বাসার পাশে থাকার সুবাদে তাদের বাসায় যাতায়াত ছিল। তার বাবা এবং ভাইদের সঙ্গেও আমার ভালো সম্পর্ক ছিল। তাদের বাসায় যাতায়াতের সুবাদে নুরহানের সঙ্গে মোবাইলে কথা হতো। এক পর্যায়ে সম্পর্ক তৈরি হয়। সম্পর্কের বিষয়টি তাদের পরিবারকে জানাই। প্রথমে ওই পরিবার রাজি ছিল না। পরে তারা মেনে নেওয়ায় ২০১৬ সালে আমরা বিয়ে করি।
(ঢাকাটাইমস/১১জনুয়ারি/প্রতিনিধি/পিএস)