তীব্র শীতে কাঁপছে সৈয়দপুর, বিপর্যস্ত জনজীবন

প্রকাশ | ১২ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:২০ | আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৩১

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস

ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়ার প্রভাবে শীত বেড়েছে অনেকগুণ। হাড় কাঁপানো এ শীতে কাঁপছে সৈয়দপুরসহ উত্তরের জেলা নীলফামারী। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। সন্ধ্যার পর থেকে শুরু করে দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টির ফোঁটার মতো ঝরছে কুয়াশা। গত পাঁচ দিনেও দেখা মেলেনি সূর্যের। দিন রাত কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে পুরো অঞ্চল। ফলে দিনের বেলায়ও হেডলাইট জ্বালিয়ে চালতে হচ্ছে বিভিন্ন যানবাহনকে। সৈয়দপুর বিমানবন্দরে বিমান ওঠা নামায়ও বিঘ্ন ঘটছে। কুয়াশায় ঢাকা সৈয়দপুর বিমানবন্দর।

শুক্রবার সকাল ৯টায় নীলফামারীর সৈয়দপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। শীতের এ প্রভাব আরও কয়েক দিন থাকবে বলে জানান তিনি। 

এদিকে রাত ও দিনে তাপমাত্রা প্রায় কাছাকাছি হওয়ায় দিনের চেয়ে রাতে অনেক বেশি ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। মানুষ আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। প্রচণ্ড শীতে কাজে বের হতে গিয়ে বেকায়দায় পড়ছেন শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ। ঘন কুয়াশা আর ঠাণ্ডায় নষ্ট হচ্ছে ধানের বীজতলা ও আলুক্ষেত। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। 

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, রাতভর পড়া কুয়াশায় ভিজে আছে পিচঢালা পথ। তীব্র শীতকে উপেক্ষা করেই কাজের সন্ধানে ছুটছে কর্মজীবী মানুষ। তবে শহরে অন্যান্য সময়ের চেয়ে লোক সমাগম থাকছে কম।

সৈয়দপুর শহরের তামান্না সিনেমা হল মোড় এলাকায় কথা হয় ইজিবাইক চালক আলমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ঘন কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাসে মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। ফলে আমাদের আয় কমে গেছে।

তবে শীত বাড়ায় রেললাইনের ধারে ও ফুটপাতে গরম কাপড়ের দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন নিম্ন আয়ের ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ। কিছুটা কম দামে শীতের কাপড় কিনে শীত নিবারণের আশায় দোকানগুলোতে ছুটছেন তারা। রেললাইনের ধারে শীতের কাপড় কিনতে নিম্ন আয়ের ও মধ্যবিত্ত পরিবারের ভিড়।

আরমান আলী নামে আরেক ইজিবাইক চালক বলেন, ‘চার দিন থাকি ঠান্ডা খুব বেশি হইছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কুয়াশাত আস্তা দেখা যায়ছে না। লাইট জ্বালে জানটা হাতোত নিয়া গাড়ি চালাইছি।’

এদিকে ঠান্ডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের হারও বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ বেড়েছে।

চিকিৎসকরা সকলকে সাবধানতার সঙ্গে চলাফেরা করাসহ শিশু ও বয়স্কদের ঠান্ডা না লাগানোর পরামর্শ দিয়েছেন।

(ঢাকাটাইমস /১২জানুয়ারি/প্রতিনিধি/পিএস)।