কুড়িগ্রাম পোস্ট অফিসের ৬ কর্মকর্তা-কর্মচারীর ৯ বছরের কারাদণ্ড
প্রকাশ | ১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:২৫
কুড়িগ্রাম পোস্ট অফিসের সহকারী পোস্ট মাস্টারসহ ৬ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে ৯ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পোস্ট অফিসের টাকা আত্মস্বাতের দায়ে দুদকের মামলায় দুটি ধারায় এ রায় দেওয়া হয়। এছাড়াও রায়ে ১২ লাখ ২৫ হাজার ৪৯২ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
সোমবার রংপুরের স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. হায়দার আলী এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় ৬ আসামির মধ্যে ৪ জন উপস্থিত ছিলেন। দুজন পলাতক ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
স্পেশাল জজ আদালতের সরকারী কৌশলী একেএম হারুনর রশীদ জানান, ২০০২ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত চাকরিরত অবস্থায় কুড়িগ্রাম পোস্ট অফিসে জালিয়াতির মাধ্যমে ৬ লাখ ১৫ হাজার ৫৭৬ টাকা আত্মসাত করা হয়।
এ ঘটনায় কুড়িগ্রাম পোস্ট অফিসের পরিদর্শক এসএম শাহাদাত সুলতান ২০০৫ সালের ৯ মে পোস্ট অফিসের ৬ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
আসামিরা হলেন, সহকারী পোস্ট মাস্টার মো. আবুল কালাম আজাদ, লেজার অপারেটর মো. হাবিবুর রহমান, একই পদের মো. আব্দুল মালেক ও অশোক কুমার নাথ, কাউন্টার অপারেটর মো. মতিউল ইসলাম, একই পদের মো. মওদুদ হাসান। পরে মামলাটির তদন্ত পায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মো. জাকারিয়া।
তদন্তে টাকা আত্মসাতের বিষটি প্রমাণিত হওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মো. জাকারিয়া ৬ জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ আদালতে সন্দেহাতিত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাদের বিরুদ্ধে এই রায় প্রদান করেন।
আদালত সূত জানায়, পেনাল কোডের ৪০৯/১০৯ ধারায় দোষী সাব্যস্থ করে প্রত্যেক আসামিকে ৬ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১২ লাখ ২০ হাজার ৪৯২ টাকা জরিমানা করা হয়। এই টাকা ২ মাসের মধ্যে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।
পেনাল কোডের ২০১/১০৯ ধারায় প্রত্যেক আসামিকে ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
পলাতক আসামি মো. মওদুদ হাসান ও অশোক কুমার নাথের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
(ঢাকাটাইমস/১৫জানুয়ারি/প্রতিনিধি/জেডএম)