শেকৃবিতে নবীনদের ওরিয়েন্টেশন সম্পন্ন, ক্লাস শুরু আজ

প্রকাশ | ১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:১৯

শেকৃবি প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস

রাজধানীর বুকে অবস্থিত শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেভেল-১ সেমিস্টার-১ ভর্তিকৃত নবাগত শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ (সোমবার) সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল টিএসসি কমপ্লেক্সে শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন ও ফুলেল শুভেচ্ছার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।

সোমবার (১৫ নভেম্বর) সকাল থেকেই নবীন শিক্ষার্থীদের প্রাণ স্পন্দনে মুখরিত হতে শুরু করে শেকৃবির ক্যাম্পাস। পরবর্তীতে শেখ রাসেল মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক প্রফেসর ড. মো ফরহাদ হোসেন এর সভাপতিত্বে মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শেকৃবি উপাচার্য প্রফেসর ড. শহীদুর রশীদ ভুঁইয়া। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. অলোক কুমার পাল , কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলাম, প্রক্টর প্রফেসর ড. হারুন উর রশীদ। এছাড়াও বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য অলোক কুমার পাল বলেন, আজকে তোমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথমদিন। অনেক ঝড় ঝাপটা পার হয়ে তোমরা শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছ। তোমাদের এই স্মরণীয় দিনে আজকে থেকেই প্রতিজ্ঞা রাখবে যে সত্যিকারের একজন ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে উঠার। তাহলেই তোমাদের পিতা-মাতার স্বপ্নপূরণ হবে। আর একজন সত্যিকারের ভালো মানুষ হতে হলে দুর্নীতিমুক্ত, মাদকমুক্ত থাকতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়টি ঢাকার কেন্দ্রস্থলে হ‌ওয়ায় এখানে তুমি ভালো খারাপ দুইটাই পাবে। তোমাদের প্রতি প্রত্যাশা থাকবে যে তোমরা ভালোটাই বেছে নেবে। আমি অভিভাবকদের প্রতি তাদের সন্তানদের খোঁজখবর রাখার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. শহীদুর রশিদ ভুঁইয়া বলেন, তোমাদের সবাইকে আমাদের এই সবুজ চত্বরে স্বাগত জানাই। তোমরা এতদিন তোমাদের অভিভাবকের তত্ত্বাবধানে ছিলে। এখানে এসে হয়তো তোমাদের অভিভাবক থাকবে না কিন্তু তোমাদের নিজেকেই কাজগুলো ঠিকভাবে করে যেতে হবে। নিয়মিত ক্লাস করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক ভালো ভালো সংগঠন আছে যেগুলোর সাথে যুক্ত হয়ে আত্মবিকাশে কাজ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, তোমাদের মধ্যে কারও কারও হয়তো অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে পড়ার ইচ্ছে ছিল কিন্তু সেখানে ব্যর্থ হয়েছো। তুমি হয়তো এখান থেকে মানুষের ডাক্তার হতে পারবে না কিন্তু এমন কিছু হবে যা তুমি কল্পনাও করতে পারছো না। সারা বিশ্বই কিন্তু বিভিন্ন ধরনের টানাপোড়েনের মধ্যে রয়েছে ছাত্র হিসেবে মেধাবী ছাত্র হিসেবে সে সবকিছু তোমাদের জানা দরকার তুমি কেবল বাংলাদেশের না বিশ্বের একজন মানুষ। তোমরা হয়তো জেনে থাকবে বাংলাদেশে ব্যবহৃত কীটনাশকগুলো তৈরির কোনো কারখানা বাংলাদেশে নেই। সেসব বিষয় নিয়ে তোমাদের কাজ করা দরকার। আমরা দিনে দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতি করছি। কৃষি ও কৃষি গবেষণাকে এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কিছুকে নিয়মের মধ্যে আনার চেষ্টা করছি। আশা করি তোমরা আমাদের সহযোগিতা করবে।

অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস ঘুরে দেখানো হয়। এসময় শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যায়।

(ঢাকাঢাইমস/১৬জানুয়ারি/প্রতিনিধি/জেডএম)