উত্তরা-আবদুল্লাহপুর সড়কে তীব্র যানজট, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

প্রকাশ | ১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:১৮ | আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:১৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

রাজধানী ঢাকা বিশ্বের অন্যতম মেগাসিটি। তিলোত্তমা নগরী ঢাকায় প্রথম যে সমস্যায় আমাদের প্রতিনিয়ত পড়তে হয় তা হলো যানজট। কার্যত এই সমস্যা শহরটাকে সম্পূর্ণ অকার্যকর করে ফেলেছে। ফলে যানজট ও সড়কের বিশৃঙ্খলা থেকে কিছুতেই রেহাই পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ।

 

রাজধানীর অন্যতম উত্তরা ও আবদুল্লাহপুর ব্যস্ত এলাকায় ধীরগতিতে চলছে যানবাহন। এ কারণে ওই এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট। এসব সড়ক পথের যাত্রা যেন এক আতঙ্কের নাম যাত্রীদের কাছে। উন্নয়ন কার্যক্রম, খোঁড়াখুঁড়ি ও সংস্কারের কারণে এই পথটুকু যেতেই সময় লাগছে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা। ফলে প্রতিদিনই তীব্র ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের।

ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাসের ভেতর অপেক্ষার পর অনেকে হেঁটে গন্তব্যের দিকে ছুটছেন। মঙ্গলবার সকাল থেকেই এমন অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে এই পথে চলাচলকারী যাত্রীদের। ভয়াবহ যানজটে এই পথে চলাচলকারী কেউ-ই সঠিক সময়ে গন্তব্যে যেতে পারছেন না। অফিসগামীদের অনেকেই পায়ে হেঁটে অফিস ধরেছেন।   

রাজধানীর উত্তরা-বিমানবন্দর সড়কে গত কয়েক দিন ধরেই অসহনীয় যানজট। একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলমান থাকা ও বেহাল রাস্তার কারণে এই যানজট বলে দাবি ট্রাফিক বিভাগের। আজ ভোর থেকে আবদুল্লাহপুর, উত্তরা, এয়ারপোর্ট, বনানী, মহাখালী সড়কে রাজধানীবাসীর ভোগান্তি বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুণ। এ অবস্থায় সকাল থেকেই স্থবির হয়ে পড়েছে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এসব সড়কগুলো।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অফিসগামী একজন জানান, ভোরে এয়ারপোর্ট থেকে গাজীপুর বাসে উঠে একই জায়গায় বসে থাকার পর হেঁটেই রওনা দেন অফিসের দিকে। এয়ারপোর্ট থেকে টঙ্গিমুখী সড়কে স্থবির স্থবির হয়ে পড়েছে যানচলাচল। এয়ারপোর্ট থেকে টঙ্গি পর্যন্ত তার হেঁটে আসতে সময় লেগেছে এক ঘণ্টার বেশি সময়।

সংবাদকর্মী একজন জানান, জ্যামের কারণে কামারপাড়া থেকে হেঁটে আবদুল্লাহপুরে এসে বাসে উঠার জন্য তাকে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। আবদুল্লাহপুর থেকে এয়ারপোর্টের দিকের সড়কপথ পুরোটাই যানজটে আটকে রয়েছে সমস্ত যানবাহন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, এয়ারপোর্ট থেকে আব্দুল্লাহপুরমুখী সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে মহাখালী, বনানী, বিশ্বরোড, খিলক্ষেত, কাওলা, এয়ারপোর্ট, উত্তরা, আব্দুল্লাহপুর পেরিয়ে গেছে যানবাহনের দীর্ঘ সারি। 

অন্যদিকে রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনালও এখন যাত্রীদের জন্য ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। টার্মিনালের ভেতরটা ফাঁকা থাকলেও বাসগুলো থাকে টার্মিনাল সংলগ্ন রাস্তায়। রাস্তার দুই পাশে রাতে থাকলেও দিনে থাকে বাসগুলোর দীর্ঘ লাইন। ফলে মহাখালী থেকে নাবিস্কো মোড় পর্যন্ত দীর্ঘ সময় ধরে লেগে থাকে যানজট।

উল্লেখ্য, ঢাকা মহানগরীতে আমরা যারা স্থায়ী বা অস্থায়ীভাবে বসবাস করছি, যারা বিভিন্ন প্রয়োজনে বাইরে থেকে প্রতিদিন আসা-যাওয়া করেন তারা যেসব দুর্ভোগের শিকার হন তার মধ্যে যানজট সবার শীর্ষে। যানজটের কারণে গতি থমকে থাকলেও সময় থমকে থাকে না। সময় মতো না পৌঁছার কারণে কাজের কাজ কিছুই হয় না। সার হয় আসা-যাওয়া। এ তিক্ত অভিজ্ঞতা সবার জীবনের কম-বেশি রয়েছে। দিনকে দিন প্রকট হয়ে উঠছে যানজট।

(ঢাকাটাইমস/১৬ জানুয়ারি/আরজেড)