ইরান-পাকিস্তান উত্তেজনা: যা বলল যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ভারত 

প্রকাশ | ১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:২২ | আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৫৬

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস

গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ এবং ইয়েমেনের হুতি ও যুক্তরাষ্ট্রের সংঘাতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে মধ্যপ্রাচ্যে। এর মধ্যেই সশস্ত্র সংঘাতের উদ্বেগজনক ইঙ্গিত দিচ্ছে ইরান ও পাকিস্তান পাল্টা পাল্টি বিমান হামলা। সেখানে দুই দেশের অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার ইরান থেকে চার শিশুসহ নয়জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে এবং আগের দিন পাকিস্তান থেকে দুইজন শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, তবে উভয় দেশ বলেছে  তারা ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে আক্রমণ করেছে। তেহরান বলেছে, এটি জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ আল-আদলের শিবিরগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করেছে এবং ইসলামাবাদ বলেছে, তারা  বেলুচিস্তান প্রদেশে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে আক্রমণ করেছে৷

মঙ্গলবার বেলুচিস্তান প্রদেশে ইরানের হামলার ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে চরম কূটনৈতিক উত্তেজনাও দেখা দিয়েছে। পাকিস্তানের আকাশসীমা লঙ্ঘন ও হামলার জবাবে বুধবার কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে ইসলামাবাদ। ইরান থেকে নিজেদের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করেছে পাকিস্তান। একইসঙ্গে পাকিস্তানে নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূতকেও আপাতত ইসলামাবাদে না ফিরতে বলা হয়েছে।

বর্তমানে নিজ দেশে আছেন পাকিস্তানে নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূত। তার আর পাকিস্তানে ফেরার দরকার নেই বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মুমতাজ জাহরা বালোচ।

এদিকে পাকিস্তান-ইরানের বিমান হামলার বিষয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ভারত। এ বিষয়ে ইরানকে তীক্ষ্ণ বার্তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, বেইজিং উভয় পক্ষ থেকে ‘সংযম’ করার আহ্বান জানিয়েছে এবং নয়াদিল্লি নিজেকে এ বিষয় থেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছে। 

যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ভারত কী বলেছে?

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তিন দেশের সার্বভৌম সীমান্ত লঙ্ঘনের জন্য ইরানের সমালোচনা করেছে। ওয়াশিংটন বর্তমানে লোহিত সাগর অঞ্চলে হুথি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে হামলার নেতৃত্ব দিচ্ছে, যারা ব্যাপকভাবে তেহরান সমর্থিত। 

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘আমি মনে করি এটি একটি জটিল বিষয়... একদিকে ইরান এই অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদের শীর্ষস্থানীয় অর্থদাতা, এবং অন্যদিকে তারা দাবি করে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় তারা এই পদক্ষেপ নিয়েছে।’ 

এদিকে নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছে বেইজিং। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমরা দুই পক্ষকে উত্তেজনা এড়াতে এবং যৌথভাবে এই অঞ্চলকে শান্তিপূর্ণ রাখতে আহ্বান জানাই।’

পাকিস্তানের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং ইরান থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ তেল আমদানি করার কারণে চীন সম্ভবত এই বিষয়ে একটি নিরপেক্ষ অবস্থানে রয়েছে।

নয়াদিল্লি বলেছে,  ‘দেশগুলোর তাদের আত্মরক্ষার জন্য যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা বোঝে ভারত’।

ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল একটি প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন, ‘এটি ইরান এবং পাকিস্তানের মধ্যে একটি বিষয়।  তবে ভারত সন্ত্রাসবাদের প্রতি জিরো টলারেন্স নীতি বজার রাখে এবং আমরা বুঝতে পারি যে দেশগুলো তাদের আত্মরক্ষার জন্যই পদক্ষেপগুলো নিয়েছে।’

সূত্র: এনডিটিভি

(ঢাকাটাইমস/১৮জানুয়ারি/এমআর)