হারিয়ে যাওয়া মানিব্যাগ ফেরতের জন্য ডেকে অপহরণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৬

প্রকাশ | ২০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:০১ | আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৪২

​​​​​​​নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

হারিয়ে যাওয়া মানিব্যাগ ফেরতের কথা বলে ডেকে নিয়ে অপহরণ মুক্তিপণ হিসেবে মোটা অঙ্কের অর্থ স্বর্ণালঙ্কার আদায় করা চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির দক্ষিণখান থানা পুলিশ। সেই সঙ্গে মুক্তিপণের জন্য হাতিয়ে নেওয়া স্বর্ণালঙ্কারও উদ্ধার করা হয়েছে।

 

শনিবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে উত্তরা বিভাগের উপকমিশনারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান দক্ষিণখান জোনের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার মো. তরিকুর রহমান।

 

গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন- ফাহিম হোসেন খান শুক্ত, মো. মামুন মোল্লা, কাজী আহাদ হোসেন, রুবেল, মো. ইমরান হোসাইনমোছা. সালমা আক্তার।

 

এডিসি তরিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একজন কর্মকর্তা রিয়াজ আহমেদ। তিনি ১৫ জানুয়ারি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় দাপ্তরিক কাজে নেভাল সদর দপ্তরে আসেন। দাপ্তরিক কাজ শেষে পরদিন ১৬ জানুয়ারি উত্তরা আব্দুল্লাহপুর বাস কাউন্টারে টিকিট কাটার উদ্দেশ্যে যান। কিন্তু তার মানিব্যাগ হারিয়ে যাওয়ায় টিকিট না কেটে মানিকদিতে তার বাবার বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। পথিমধ্যে খিলক্ষেত রিজেন্সি হোটেলের সামনে পৌঁছা মাত্র বাদীর মোবাইল ফোনে হোয়াটস অ্যাপে অজ্ঞাত একটি নম্বর হতে কল আসে এবং বাদীর হারিয়ে যাওয়া মানিব্যাগটি কলারের কাছে আছে বলে জানানো হয়।

 

ভুক্তভুগী রিয়াজ তা সংগ্রহের জন্য দক্ষিণখান থানার ফায়দাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে ডিমটাচ বিল্ডিংয়ের সামনে গেলে আসামিরা তাকে বাসার তৃতীয় তলার ফ্ল্যাটে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে যাওয়া মাত্র কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই অজ্ঞাতনামা ছয়জন তাকে ফ্ল্যাটের ভিতরে একটি রুমে জোর করে নিয়ে যায়। তার হাত-পা বেঁধে আটক রেখে মুক্তিপণের জন্য প্রাণনাশের ভয় দেখিয়ে তার কাছে থাকা ভিসা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা এবং শ্বশুরকে মোবাইলে কল করিয়ে তার কাছ থেকে লাখ ২০ হাজার টাকা, একটি স্বর্ণের চেইন হার, একটি স্বর্ণের আংটি একজোড়া স্বর্ণের কানের দুল গ্রহণ করে।

 

স্বর্ণালঙ্কার নেওয়ার পর অপহরণকারী চক্র রিয়াজ আহমেদকে ছেড়ে দেয়। পরবর্তীতে দক্ষিণখান থানায় মামলা হয়। দক্ষিণখান থানার একটি টিম সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে প্রথমে আসামি ফাহিম হোসেন খান শুক্তকে দক্ষিণখান থানার ফায়দাবাদ সরকারি প্রাইমারি স্কুলের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনায় জড়িত অন্যান্য সহযোগী আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।

অপহরণের ঘটনায় জড়িত অন্য সহযোগী আসামিদের দেওয়া তথ্য মতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যতম আসামি মামুন মোল্লার বাসা থেকে মুক্তিপণের জন্য দেওয়া স্বর্ণালঙ্কার (একটি স্বর্ণের হার, একটি স্বর্ণের আংটি একজোড়া স্বর্ণের কানের দুল) উদ্ধার করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/২০জানুয়ারি/এসএস/কেএম)