পঞ্চগড়ে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি
দেশের সর্বনিম্ন ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা বইছে পঞ্চগড়ে। টানা চারদিন ধরে বয়ে চলা মৃদু থকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ তীব্র শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিয়েছে। শুক্রবার সকাল ৯টায় চলতি মৌসুমের এ তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়া অফিস জানায়, বছরের শীতলতম মাস জানুয়ারির শুরু থেকে এখানে হাড় কাঁপানো শীত অনুভূত হচ্ছিল। কয়েক দফা মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। সপ্তাহজুড়েই এখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ এর আশেপাশে ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে ৬ এর নিচে নামে তাপমান যন্ত্রের পারদ।
ভোর থেকে ঢাকা পড়ে ঘনকুয়াশা। কদিন ধরেই রাতভর বৃষ্টির মতো পড়ছে শিশির। বেলা বাড়ার সঙ্গে কুয়াশা ঘনত্ব কমে আসে। বিকালের দিকে আবারও ঘনকুয়াশায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। আর সারাদিন হালকা কুয়াশার সঙ্গে সঙ্গে উত্তরের হিমশীতল বাতাসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার পরও সড়ক মহাসড়কে হেটলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। মাঘের হাড় কাঁপানো শীতে চরম দুর্ভোগ পড়েছেন ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষের। গত দুই বছরের তুলনায় এবার বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে বলে জানায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস।
উপজেলা সদরের হাফিজাবাদ ইউনিয়নের মারুপাড়া এলাকার কৃষক আল আমিন বলেন, আমি স্থানীয় কৃষি শ্রমিকদের সঙ্গে নিজেও কাজ করি। আমাদের প্রতিদিন ভোরের দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে ক্ষেতে নামতে হয়। কিন্ত বর্তমান ঠান্ডার কারণে হাত দিয়ে কোনো কিছু ধরা যায় না। ঠান্ডায় হাত বরফ হয়ে আসে। ঠান্ডার কারণে খুব কষ্ট হচ্ছে আমাদের।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, তেঁতুলিয়াসহ আশপাশের এলাকায় বৃহষ্পতিবার পর্যন্ত মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ ছিল। শুক্রবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি। দিনের তাপমাত্রাও কমে রেকর্ড করা হয় ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৪ থেকে ৬ এর মধ্যে রেকর্ড হলে ওই এলাকায় তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়।।
(ঢাকাটাইমস/২৬জানুয়ারি/প্রতিনিধি/জেডএম)
মন্তব্য করুন