‘এখন থেকে ৫০ টাকা কমেই মাংস বিক্রির চেষ্টা করব’, হুমকিদাতা আটকের খবরে খলিল

প্রকাশ | ২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০২:১২ | আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:২৫

লিটন মাহমুদ, ঢাকা টাইমস

হত্যার হুমকিদাতাকে গ্রেপ্তারের পর গরুর মাংসের দাম কেজিতে ৫০ টাকা কমানোর ঘোষণা দিলেন শাহজাহানপুরের আলোচিত ব্যবসায়ী খলিল আহমেদ। বাজারে যে দামেই বিক্রি হোক, তার চেয়ে ৫০ টাকা কমে মাংস বিক্রি করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

শনিবার দিবাগত রাতে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার পর এমন ঘোষণা দেন খলিল।

দীর্ঘদিনের সিন্ডিকেট ভেঙে সবচেয়ে কম দামে মাংস বিক্রি করে দেশজুড়ে চমক সৃষ্টি করেন শাহজাহানপুরের ব্যবসায়ী খলিল। তবে তার এই উদ্যোগ সর্বমহলে প্রশংসিত হলেও স্বগোত্রীয় ব্যবসায়ীদের তোপের মুখে পড়েন। এমনকি কম দামে মাংস বিক্রি করায় সম্প্রতি হত্যার হুমকিও পান। যে ঘটনায় শাহজাহানপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেন তিনি।

খলিলের জিডির ভিত্তিতে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। সেই অভিযানের প্রেক্ষিতে শনিবার দিবাগত রাতে সাভারের আশুলিয়া থেকে খলিল ও তার সন্তানকে প্রাণনাশের হুমকিদাতা ও নির্দেশদাতাকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-৩। র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

এদিকে হুমকিদাতাদের আটকের খবরে স্বস্তি ফিরেছে খলিলের। গ্রেপ্তারের খবর জানার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ঢাকা টাইমসকে খলিল আহমেদ জানান, হুমকির পর থেকেই পরিবারসহ আমি আতঙ্কে ছিলাম, সেটা থেকে মুক্তি পেলাম।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে খলিল বলেন, 'প্রশাসনকে অনেক ধন্যবাদ। সেই সাথে আমার ক্রেতাদেরও ধন্যবাদ জানাই, তারা আমার জন্য দোয়া করেছে। এজন্য সারাজীবন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকব।'

খলিল আরও বলেন, 'ঢাকা শহরে যে দামেই মাংস বিক্রি হোক, এখন থেকে অন্যান্য দোকানের থেকে ৩০-৫০ টাকা কম দামে মাংস বিক্রি করব।'

উল্লেখ্য, ঢাকার অন্যান্য দোকানে যখন গরু মাংসের দাম যখন ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা কেজি তখন ৬৫০ টাকা কেজি দরে মাংস বিক্রি করে আলোচনায় আসেন শাহজাহানপুরের মাংসবিক্রেতা খলিল। তবে সম্প্রতি সন্তানসহ নিজের হত্যার হুমকি পেয়ে জিডি করেন খলিল। জিডি’তে তিনি উল্লেখ করেন, “দু’টি নম্বর থেকে আমার কাছে ফোন আসে। কল রিসিভ করতেই ফোনের অপর পাশ থেকে বলা হয়, তোর ছেলের জন্য ছয় বুলেট, তোর জন্য ছয় বুলেট রেখেছি। কথা না শুনলে বাবা-ছেলেকে মেরে ফেলব।”

(ঢাকাটাইমস/২৮জানুয়ারি/এলএম/এমএস/আরআর)