মার্কিন আইন প্রণেতারাই যখন অন্য দেশে আইন ভাঙতে চাপ সৃষ্টি করেন!

প্রকাশ | ২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:১৬

মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী

গত ২২শে জানুয়ারি ১২ জন মার্কিন সিনেটর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একটি চিঠি লিখেছেন। এতে তারা ‘আমাদের নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অবিচ্ছিন্ন হয়রানির অবসান ঘটাতে এবং সরকারের সমালোচকদের আরও বিস্তৃতভাবে লক্ষ্যবস্তু করার জন্য আইন ও বিচার ব্যবস্থার ধরনকে অবিরাম হয়রানির অবসান’ ঘটাতে তাগিদ দিয়েছেন। এর আগে সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনসহ ১১০ জন ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে আদালতে চলমান মামলা তুলে নেওয়ার দাবি করে পত্র লিখেছিলেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশের এমন শীর্ষ আইন প্রণেতাসহ নীতি নির্ধারক মহলের পক্ষ থেকে আমাদের মতো একটি ছোটো দেশের একজন নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তির আইন আদালত সম্পর্কীয় বিষয় নিয়ে প্রাসঙ্গিক-অপ্রাসঙ্গিক বক্তব্য লিখে সরকারপ্রধানের কাছে তার বিরুদ্ধে আদালতে চলমান মামলা বন্ধ করার যখন তাগিদ দেওয়া হয়, তখন বিষয়টি আন্তর্জাতিক আইন, আদালত, বিচার, কূটনীতি এবং আস্থার সম্পর্কের ওপর বড় ধরনের অবজ্ঞা, আঘাত এবং হস্তক্ষেপ করার শামিল বলে প্রতীয়মান হয়। অথচ গণতন্ত্র, স্বাধীন আইন ও বিচার বিভাগ, মানবাধিকার ইত্যাদি আধুনিক রাষ্ট্র রাজনীতির জ্ঞানতাত্ত্বিক ধারণা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নত দেশগুলো থেকেই আমাদের উন্নয়নশীল দেশগুলোর শেখা, বোঝা এবং প্রয়োগ করার চেষ্টা করে থাকে। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১২ জন সিনেটর তথা আইনপ্রণেতার দেওয়া চিঠিতে যা বর্ণিত হয়েছে তাতে নির্দিষ্ট বিষয় থেকে অতিরিক্ত বক্তব্য, ধারণা সরলীকৃতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যা মোটেও প্রত্যাশিত নয়। ১২ জন সিনেটর ড. ইউনুসের কথা লিখতে গিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ‘সরকারের সমালোচকদের আরও বিস্তৃতভাবে লক্ষ্যবস্তু করার জন্য আইন ও বিচার ব্যবস্থার ধরনকে অবিরাম হয়রানির অবসান’ ঘটানোর কথাও যোগ করেছেন যা সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক এবং বাস্তবতা বিবর্জিত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রণেতাগণকে আমরা মর্যাদার দিক থেকে বেশ ওপরেই স্থান দিয়ে থাকি। কিন্তু তারা যখন অন্য দেশের আইন, বিচার এবং ব্যক্তি স্বাধীনতার বিষয়গুলো সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা না রেখে তা অপ্রাসাঙ্গিকভাবে জুড়ে দেন- তখন সেটি সততা ও নিয়মনীতির বাইরে চলে যায়। এর দায় তখন সিনেটরদেরই ওপর বর্তায়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটরগণ বাংলাদেশের আদালতে ড. ইউনূসের মামলা এবং বিচার বন্ধ রাখার তাগিদ সরকারপ্রধানের কাছে যখন জানান, তখন প্রশ্ন জাগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সরকারের নির্বাহী প্রধান তথা রাষ্ট্রপতি সে দেশের বিচারবিভাগের ওপর হস্তক্ষেপ করার কোনো অধিকার কিংবা নজির স্থাপন করেন কি না। আমাদের বিশ্বাস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তা কল্পনাও করা যায় না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। আমরাও ঠিক তাই। আমাদেরও আইন, বিচার ও নির্বাহী বিভাগ গণতন্ত্রের নিয়ম অনুযায়ী স্বাধীন এবং পৃথকভাবে পরিচালিত হচ্ছে। নির্বাহী বিভাগের প্রধান এমনকি উচ্চ আদালতে তো দূরে থাক, নিম্ন আদালতেও সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারেন না। এটি আরো একেবারেই অসম্ভব এবং আইন ভঙ্গের নজির স্থাপনকারী ঘটনা হয়ে দাঁড়াবে যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রণেতা কিংবা প্রভাবশালী ব্যক্তিগণ কোনো আদালতে বিচারাধীন কোনো ব্যক্তির জন্য বিশেষভাবে তদবির করেন। বাংলাদেশের আদালতে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে যেসব মামলা দায়ের হয়েছে কিংবা চলমান আছে সেগুলো সংক্ষুব্ধ কোনো না কোনো ব্যক্তি বা একাধিক ব্যক্তি কর্তৃক দায়ের করা। যারা তার কোনো না কোনো প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন, সেখানকার নিয়মনীতি ভঙ্গ করা অথবা ভুক্তভোগীরা এইসব মামলা দায়ের করেছেন। এইসব মামলার সঙ্গে সরকারের সংশ্লিষ্টতা নেই। এখন বিচার বিভাগের ওপর সরাসরি হস্তক্ষেপ করার অধিকার সরকারপ্রধানের নেই- একথা মার্কিন সিনেটরগণ বোঝেন না তা কোনোভাবেই বিশ্বাসযোগ্য নয়। কিন্তু বারবার ড ইউনূসের বিরুদ্ধে আদালতে চলমান মামলা নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ পর্যায় থেকে যে ধরনের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয় সেটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরই ভাবমূর্তি নিয়ে আমাদের মতো দেশে প্রশ্ন ওঠে যার দায়দায়িত্ব বিবৃতিদাতাদেরই বহন করার কথা। বিবৃতিদাতাদের বক্তব্যে অনেক অসংগতি যখন স্পষ্ট হয়ে ওঠে তখন বিশ্বাস করা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতা কিংবা প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বাংলাদেশের আইন, আদালতে ড. ইউনূসের মামলার খুঁটিনাটি সম্পর্কে কতটা স্পষ্ট ধারণা রাখেন, নাকি এখানকার কারো না কারো তৈরি বিবৃতিতে তারা কেবলমাত্র স্বাক্ষর করেন! তাদের বিবৃতিতে সিনেটরগণ জাতিসংঘ মানবাধিকার হাই কমিশনারের নাম উল্লেখ করে যেসব মামলার ইঙ্গিত করেছেন সেগুলোর প্রতিটিরই কার্যকারণ ও ঘটনাপ্রবাহ ভিন্ন ভিন্ন হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু শ্রম আদালতে মামলার গতি অন্য ফৌজদারি আদালতের চাইতে অনেক বেশি ভিন্ন বাস্তবতায় স্বাভাবিক নিয়মে পরিচালিত হওয়ার কারণে কোনোভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ করা ঠিক নয়। কারণ শ্রম আদালতে মামলার সংখ্যা অপেক্ষাকৃতভাবেই কম থাকে। ফৌজদারি আদালত বাংলাদেশে মামলার জট সামলিয়ে চলতে হিমশিম খায়। সে কারণে বাংলাদেশের আইন আদালত সম্পর্কে যেভাবে সরলীকৃতভাবে রাজনৈতিক প্রভাব বা হেনস্তার অভিযোগ করা হয়েছে। সেটি মার্কিন সিনেটরদের অভিযোগ করার বিষয় নয়। যেমনিভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিচারবিভাগের বিষয়াদি নিয়ে অন্য দেশের তৃতীয় কোনো ব্যক্তি বা সমষ্টি করা কোনো অভিযোগও সমীচীন নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সেটা গৃহীত হওয়ারও নয়।


ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ক্ষুদ্রঋণ সম্পর্কে বিবৃতিদাতাগণ যে প্রশংসা করেছেন সেটি বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের কাছে একসময় আলোচনায় প্রাধান্য পেলেও ক্ষুদ্র ঋণের সুবিধাভোগী মানুষের পরিসংখ্যান বাস্তবের সঙ্গে খুব বেশি মিল পাওয়া যায় না। অন্য কোনো দেশ কতটা লাভবান হয়েছে, হলে সে দেশের সংশ্লিষ্টগণ এর প্রয়োগ ও ব্যবস্থাপনায় নিজস্ব মৌলিকত্ব সৃষ্টি করেই হয়তো তা করতে পেরেছেন। কিন্তু বাংলাদেশে ক্ষুদ্র ঋণের জনপ্রিয়তা অনেক আগেই দরিদ্র মানুষের মধ্য থেকে চলে গেছে। তারপরও ড. ইউনূস ২০০৬ সালে যখন নোবেল পুরস্কার লাভ করেছিলেন, তখন বাংলাদেশের মানুষ অত্যন্ত উল্লসিত হয়েছিল। কিন্তু সেই উল্লাস বেশিদিন মানুষের মনের মধ্যে স্থায়ী হয়নি। নোবেল পুরস্কারের মর্যাদা ধরে রাখার কোনো উদ্যোগ বাংলাদেশে দেখা যায়নি। ড. ইউনূস শুধুমাত্র গ্রামীণ ব্যাংক নয় আরো অনেক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত স্বার্থসংশ্লিষ্ট নির্ভরতা ও সংশ্লিষ্টতা তৈরি করেন যা মানুষের কাছে তার ভাবমূর্তি নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দেয়। সরকার গায়ে পড়ে তার সঙ্গে কোনো বিতর্কে জড়াতে চায়নি। কিন্তু তিনি নানা বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন যা তার ভাবমূর্তির সঙ্গে কখনোই খুব একটা মানায়নি। বাংলাদেশে যারা সত্যিকার অর্থেই দেশের উন্নতি, অগ্রগতি এবং প্রগতির সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে যুক্ত থাকেন, তাদেরকে যথেষ্ট সম্মানের চোখেই দেখার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু আমাদের সমাজে কিছু কিছু মানুষ আছে যারা দেশের স্বার্থের অনুকূলে খুব একটা দাঁড়ান না। বরং অনেক সময় তাদের ভূমিকা থাকে বিতর্কিত। এরাই দেশের বাইরে গিয়ে দেশ সম্পর্কে যে ধারণা দেন তা অনেক সময়ই যথার্থ নয়। আমরা একটি ঐতিহাসিক মুক্তিযুদ্ধ করেই স্বাধীনতা লাভ করেছি। দুর্ভাগ্য হলো দেশটি নিজের পায়ের ওপর দাঁড়াতে না দাঁড়াতেই সামরিক শাসন সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর রাজনৈতিক এবং সুবিধাবাদী নানা ব্যক্তি ও গোষ্ঠী রাষ্ট্রের সর্বত্র জায়গা করে নিতে পেরেছে। একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও সমাজ প্রগতির বিকাশের ধারা ঊর্ধ্বমুখী রাখার সংগ্রামটি কত জটিল এবং এর বিরুদ্ধচারী গোষ্ঠীর অবস্থান কত ব্যাপক তা পশ্চিমা দুনিয়ার গণতান্ত্রিক শক্তি এতদিনেও খুব একটা উপলব্ধি করতে পারেনি। সে কারণেই তারা অনেক ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর মানবাধিকার নিয়ে কথা বলেন যারা আদতে মানবাধিকারের বিরুদ্ধেই দেশে যারা অবস্থান করছে তাদের সহায়ক শক্তি হিসেবে সবসময় কাজ করেছে, এখনো করছে। সেই সব ব্যক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নানাভাবে তাদের মানবাধিকার ক্ষুণ্ন হওয়ার যে গল্প প্রচার করে সেটি প্রতারণার শামিল যা বোঝা পশ্চিমা দুনিয়ার পক্ষে সম্ভব নয়। বাংলাদেশে যারা গণতন্ত্র, অসাম্প্রদায়িকতা, সমাজ প্রগতির পক্ষে রাষ্ট্র বিনির্মাণে ভূমিকা রেখেছিলেন তাদের অনেককে হত্যা করার সঙ্গে যারা সরাসরি জড়িত ছিল তাদের অনেকেই যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডাসহ অনেক দেশেই অবস্থান করছে। এরা দেশে তখনই অবাধে আসা-যাওয়া করে যখন তাদের সমর্থিত সরকার ক্ষমতায় থাকে। তাদের অপরাধের বিচার ওইসব সরকার হতে দেয়নি। দেশে গণতান্ত্রিক ভাবাদর্শের রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী, সমাজসেবক এবং সংস্কারকদের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান অনেকের কাছেই জানা আছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা বিভাজিত। এর এক পক্ষে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক শক্তি, অন্যপক্ষে সাম্প্রদায়িক এবং প্রতিক্রিয়াশীল সকল অপশক্তিকে পৃষ্ঠপোষকতা ও নেতৃত্ব দানকারী- নামে গণতান্ত্রিক, বাস্তবে চরম প্রতিক্রিয়াশীল ও সুবিধাবাদী গোষ্ঠীর অবস্থান পাশ্চাত্যের কাছে খুব একটা স্পষ্ট নয়। তাদের কাছেই এরা বেশি আশ্রয় ও প্রশ্রয় পায়। কিন্তু বাংলাদেশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, সমাজ প্রগতি ইত্যাদির কোনো ক্ষেত্রেই ইতিবাচক ভূমিকা এদের কোনোকালেই ছিল না, বরং তারা বিকাশমান গণতান্ত্রিক শক্তিকে হত্যাসহ নিষ্পেষণের সকল জাঁতাকলে ইতঃপূর্বে ধ্বংসে ভূমিকা রেখেছিল।
ড. ইউনূস বাংলাদেশে গ্রামীণ ব্যাংক স্থাপনে ভূমিকা রাখলেও বিশেষায়িত সামাজিক এই ব্যাংকটিই বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে কিংবা সামাজিক উন্নয়নে বিশেষভাবে আলোচিত কোনো প্রতিষ্ঠান হতে পারেনি। কেন পারেনি সেই প্রশ্নের উত্তর খুব বেশি জানা নেই। তবে এই ব্যাংকই ড. ইউনূসকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেতে ভূমিকা রেখেছে। মানুষ ড. ইউনূসের সুখ্যাতিতে একসময় আন্দোলিত হয়েছিল। কিন্তু ড. ইউনূস দেশে নয় বিদেশেই অনেক বেশি আলোচিত এবং অনেক বেশি পরিচিত। বাংলাদেশ কতখানি ব্যক্তিগতভাবে তার ভূমিকায় উপকৃত হচ্ছে সেটি বাংলাদেশে অবস্থান করে খুব একটা বোঝা যায় না। বরং তিনি বিভিন্ন মামলায় যখন জড়িয়ে পড়েন, তখন তার কর্মকাণ্ডের যে বিস্তার গণমাধ্যমে আসে তাতে তার এই সম্মানের হানি ঘটতে দেখা যায়। তার প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানগুলোর অভ্যন্তরের দ্বন্দ্ব তারই তো নিরসন করার কথা ছিল। সেসব কেন আদালত পর্যন্ত গড়ায়? দেশের সর্বোচ্চ আদালতে গিয়েও তিনি পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি নিয়ে বের হয়ে আসতে পারেন না। এটি আমাদের জন্য মোটেও সুখের বার্তা দেয় না। তাকে নিয়ে গণমাধ্যমেও ব্যাপকভাবে সমালোচনা হতে দেখা যায়। যে জোবড়া গ্রাম দিয়ে তার উত্থান ঘটেছিল। সেই জোবড়া গ্রাম ড. ইউনূসের ক্ষুদ্র ঋণের স্পর্শ খুব একটা পায়নি, দারিদ্র্য ক্ষুদ্র ঋণ দূর করতে সহায়ক হয়নি। বরং সেখানে যে পরিবর্তন এখন দৃশ্যমান তা বাংলাদেশে বর্তমানে যে উন্নয়ন চলছে তারই স্বাভাবিক নিয়মে ঘটছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসম্যানরা এইসব খুঁটিনাটি না জেনে আটলান্টিকের ওপাড় থেকে যা ভাবেন, করেন তা তাদের জন্য আইন ও প্রজ্ঞার পরিচয় খুব একটা বহন করে না।

মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী: ইতিহাসবিদ, কলাম লেখক ও সাবেক অধ্যাপক, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়