রূপগঞ্জে নির্বাচনপরবর্তী সহিংসতা: দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ আহত ১৫

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিক ও ওই ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য মোশাররফ হোসেন মোশার বাহিনীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় গুলিবিদ্ধসহ উভয়পক্ষের ১৫ জন আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
সোমবার উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের নাওড়া এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় দুই গ্রুপের লোকজন প্রকাশ্যে গুলি চালায় বলে জানা যায়।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কায়েতপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম তার ভাই মিজানুর রহমান মিজান ও ওই ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য মোশাররফ হোসেন মোশার লোকজন হামলার জন্য মারমুখী অবস্থানে ছিলেন। এরই জের ধরে সোমবার বিকালে দুই গ্রুপের লোকজন বিদেশি পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জরিয়ে পড়ে। এসময় আলতাব হোসেনসহ শুভ, সাজ্জাদ, আব্দুল্লাহ, ফারুক, হানিফ পথচারীসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আইভী ফেরদৌস বলেন, বিকালে আহত অবস্থায় ৩ জন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসেছে। এর মধ্যে ২ জন গুলিবিদ্ধ (ছররা গুলি) ছিল পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত ছিল। এছাড়া আরও একজনের মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্নিহ দেখা গেছে।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, রুপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়নের নাওড়া এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা শুনেছি। ইতোমধ্যে আমরা পুলিশ ফোর্স পাঠিয়েছি। তাদের কাছ থেকে খবর পেলে বিস্তারিত জানাতে পারবো। এখন আমার কাছে ওইভাবে কোনো তথ্য নেই।
(ঢাকাটাইমস/২৯জানুয়ারি/এআর)

মন্তব্য করুন