ট্র্যাফিক সার্জেন্টদের বিশ্রামের ব্যবস্থা করতে সিটি করপোরেশনের প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান

প্রকাশ | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:০১ | আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:০৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

ঢাকার ট্র্যাফিক সার্জেন্টদের কাজের ফাঁকে বিশ্রামের ব্যবস্থা করতে দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রদের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বলেছেন, 'আমাদের ট্র্যাফিক সার্জেন্টরা ভয়ানক অসুবিধায় থাকে। তাদের মাঝে মাঝে বিশ্রামের জন্য একটু ব্যবস্থা করে দেন তাহলে  ডিএমপি আরও এগিয়ে যাবে। তাদের সেবার পরিধি বাড়বে।'

বৃহস্পতিবার রাজধানীর  রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ডিএমপির ৪৯তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে সুধী সমাবেশ ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, 'এই জায়গায় (রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে) এসে মনে হয় সেই দিনের (২৫ মার্চ) কথা। বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চে যে ডাক দিয়েছিলেন, সেই ডাকে পুলিশ বাহিনী নিজের জীবন বাজি রেখে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল। অনেক পুলিশ সদস্য সেদিন শহীদ হয়েছিলেন। তারা জানতেন তারা এই যুদ্ধে জয়ী হবেন না কিন্তু তারা নৈতিকতা ও স্বাধীনতার জন্য প্রথম যে কাজটা করেছিলেন সেটা আমাদের রাষ্ট্রে উদাহরণ হয়ে আছে।

তিনি বলেন, 'আমি শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তিনি বলেছিলেন পুলিশ জনগণের পুলিশ হবে। আজকে কিন্তু আমাদেরই পুলিশ, জনগণের পুলিশ হয়েছে। জনগণের জন্য তারা সব সময় কাজ করে যাচ্ছে।  বিশ বছর আগের পুলিশের কথা যদি চিন্তা করি, সেই সময় মানুষ পুলিশকে ভয় পেতো। আজ কিন্তু মানুষ পুলিশকে জনগণের বন্ধু ভাবে।'

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ৫০টি থানায় ৩৪ হাজার জনবল নিয়ে ঢাকায় বসবাস করা নগরবাসীর নিরাপত্তার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ পুলিশের মোট জনবল ২ লাখ ১০  হাজারের বেশি। প্রতিটি পুলিশ  ৮২৫ জন মানুষকে নিরাপত্তা দিচ্ছে। ডিএমপির  যতগুলো ইউনিট আছে সবগুলো খুব সুন্দর কাজ করছে। জঙ্গিবাদের উত্থান হয়েছিল সেজন্য আমরা কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট গঠন করেছিলাম। আমরা সাইবার ইউনিট তৈরি করেছিলাম, ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার গড়ে তুলেছিলাম, আমরা ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য ট্র্যাফিক ইউনিট করেছি যা  ডিএমপির কমিশনারের অধীনে কাজ করে যাচ্ছে।'

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'কোনো প্রয়োজন হলে মানুষ পুলিশের কাছে যাচ্ছে। কোভিডের সময় আপনারা দেখেছেন মায়ের মরদেহ সন্তান ফেলে রেখে গেছে। পুলিশই তাদের শেষ কার্যটি করেছে। কাজেই পুলিশ এমনই একটি আস্থার জায়গায় এসেছে, আমরা মনে করি বিপদে-আপদে সব সময় আমাদের পাশে আছে। ডিএমপিও সেই কাজটিই করছে ঢাকা নগরীর জন্য।'

(ঢাকাটাইমস/১ফেব্রুয়ারি/এলএম/এসএম)