মৃত ঘোষণা করলেন চিকিৎসক, গোসলের সময় জীবিত হলো ‘লাশ’

প্রকাশ | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:২৫ | আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:০৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

অসুস্থ গর্ভবতী নারীকে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স মৃত ঘোষণা করেন সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক। কয়েক ঘন্টা পর লাশ দাফনের জন্য প্রস্তুতকালে গোসল করানোর সময় শরীরের পালস আপডাউনে স্বজনরা বুঝতে পারেন তিনি জীবিত। পরে স্থানীয় চিকিৎসকদের পরামর্শে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পবিরার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুল হাসান ঢাকা টাইমসকে জানান, তিনি ডাক্তারদের সাথে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘তারা ইসিজি করে পুরোপুরি মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েই রোগীকে  মৃত ঘোষণা করেছেন। এরপরে তাদের কাছে মনে হয়েছে যে, রোগী নড়ে চড়ে উঠছে। এ বিষয়টা নিয়ে আমাদের হাসপাতালে আসে নাই। আমরা খবর পেয়েছি, তারা অ্যাম্বুলেন্সে করে রোগীকে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছে। ঢাকা যাওয়ার পরে আমরা মন্তব্য করতে পারবো যে, কী সমস্যা ছিল বা কী হয়েছে। এর আগে আমাদের ডাক্তার নিশ্চিত করে ছেড়েছে— আমরা জানি ডেথ। আর যদি আমাদের হাসপাতালে নিতো তাহলে আমরা চেক করে দেখতাম। যেহেতু আমাদের এখানে আনা হয়নি, ঢাকায় নিয়ে গেছে; সেহেতু ঢাকায় নেওয়ার পরেই বুঝা যাবে। যদি তারাও বলে যে ডেথ। তাহলে আমাদের ডাক্তাররা যে ঘোষণা দিয়েছিল তখন বুঝবো যে, তারাই ঠিক ছিল।’

রোগীর ছোট ভাই আনিসুর রহমান নিলয় ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘সকালে আমার বড়বোন অসুস্থতা অনুভব করলে তাকে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। সেখানে ডাক্তার আমার বোনকে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর মৃত ঘোষণা করে। কয়েক ঘন্টা পরে তাকে গোসল করাতে নিয়ে যাওয়ার পর গায়ে পানি ঢালার সময় তার শরীরের লোম দাঁড়িয়ে যায়। পরে স্থানীয় ডাক্তারদের ডেকে আনলে দেখেন যে রীনার (রোগী) পালস আছে। পরে স্থানীয় ডাক্তারদের পরামর্শে আমি আমার বোনকে ঢাকা হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছি।’

রীনা শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার চরআত্রা ইউনিয়নের মাহামুদ দেওয়ানের বড় মেয়ে।

(ঢাকাটাইমস/০১ফেব্রুয়ারি/এমএইচ/এসআইএস)