চট্টগ্রাম বন্দর চ্যানেল ও কর্ণফুলীর নিরাপত্তা জোরদারে নৌ-তদন্ত কেন্দ্র ভূমিকা রাখবে: আইজিপি

প্রকাশ | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৩৬ | আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:১৯

​​​​​​​নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

চট্টগ্রাম বন্দর চ্যানেল ও শাহ আমানত সেতু থেকে বঙ্গোপসাগরের মোহনা পর্যন্ত কর্ণফুলী নদীর নিরাপত্তা জোরদারে ডাঙ্গার চর নৌ-তদন্ত কেন্দ্র কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।

 

রবিবার সকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্ণফুলীতে ডাঙ্গার চর নৌ-তদন্ত কেন্দ্র উদ্বোধন শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে আইজিপি একথা বলেন।

 

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ২০০২ সালের দিকে নৌ-তদন্ত কেন্দ্র স্থাপনের দাবি জানালে ২০০২ সালে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে কর্ণফুলী নদীর দুই তীরে কর্ণফুলী উপজেলার ডাঙ্গারচর, রাঙ্গাদিয়া এবং নগরীর চাক্তাই ও গুপ্তখাল এলাকায় দুটি করে চারটি নৌ-তদন্ত কেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়।

 

আইজিপি বলেন, পুলিশে শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য আমরা সবসময় সজাগ থাকি এবং পুলিশের দুই লাখ  ১৩ হাজার সদস্যের বিশাল বাহিনীর শৃঙ্খলা রক্ষার্থে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি ও বিধিবিধান যথাযথভাবে মেনে কাজ করছি। তিনি বলেন, পুলিশের হেফাজতে কেউ যদি মারা যায়, তবে নিঃসন্দেহে সেটি দুঃখজনক। আমরা এ রকম ঘটনা কাম্য করি না। যদি এমন ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে পুলিশ কোড অনুযায়ী একজন ম্যাজিস্ট্রেট এবং সুরতহাল রিপোর্ট পর্যবেক্ষণ করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।

 

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের জনবল ও ট্রান্সপোর্ট জটিলতার ব্যাপারে আইজিপি বলেন, প্রথমে যে কোনো কাজ শুরুতেই একটু ঝামেলা পোহাতে হয়, পরবর্তীতে সেটি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। চট্টগ্রামে সম্প্রতি চুরির ঘটনা প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, আমাদের কেউও যদি অপরাধে জড়িত থাকে, তাহলে তাদেরও আইনের আওতায় আসতে হবে ও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, চট্টগ্রামে বাসাবাড়িতে ঘটে যাওয়া চুরির ঘটনায় এ পর্যন্ত ৭০ শতাংশ স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশকে আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা আরো জোরদারের আহ্বান জানান।

 

আইজিপি বলেন, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে বিজিবি কাজ করছে। বিজিবির সাথে সমন্বয় করে পুলিশও কাজ করছে। তিনি বিজিবিকে সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।

উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নূর-ই আলম মিনা, এসপি মাহবুব হোসেন, কর্ণফুলী উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে নৌ-পুলিশ প্রতিষ্ঠার পর বন্দর কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার জন্য ডাঙ্গারচর নদীর কাছে জায়গা বরাদ্দ দেয়। সেখানে ২ তলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। শাহ আমানত সেতু থেকে কর্ণফুলী নদীর মোহনা পর্যন্ত এলাকায় দস্যুতা ও অপরাধ দমনে সিএমপির সাথে কাজ করবে এ তদন্ত কেন্দ্র।

(ঢাকাটাইমস/০৪ফেব্রুয়ারি/এমএইচ/কেএম)