কুমিল্লার সেই বিচারককে সাজা থেকে অব্যাহতি

প্রকাশ | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:১১ | আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

আদালত অবমাননার দায়ে কুমিল্লার সাবেক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (বর্তমানে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত) মো. সোহেল রানাকে সাজা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আপিল বিভাগ।  

মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির আপিল বিভাগ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে রায় দেন।

আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক এ তথ্য জানিয়েছেন।

এদিন আদালতে বিচারক সোহেল রানার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী, শাহ মঞ্জুরুল হক। তাদের সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট রাফিউল ইসলাম ও ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ।

এর আগে গত ৬ ডিসেম্বর আদালত অবমাননার দায়ে কুমিল্লার সাবেক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (বর্তমানে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত) মো. সোহেল রানার সাজার রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি শেষ হয়।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৭ মার্চ কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানায়  টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনে মামুন চৌধুরী ও রিয়া আক্তার দম্পতির বিরুদ্ধে একটি মামলা দোয়ের করা হয়। এ মামলার বৈধতা নিয়ে মামুন-রিয়া দম্পতির করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর হাইকোর্ট রুল দেন। একইসঙ্গে মামলার কার্যক্রম চার মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট।

এরপর ২০১৯ সালের ৬ মার্চ হাইকোর্ট রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন। এ স্থগিতাদেশ সত্ত্বেও কুমিল্লার তৎকালীন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা গত ১০ এপ্রিল সংশ্লিষ্ট মামলায় অভিযোগ গঠন করেন।

উচ্চ আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে মামলার কার্যক্রম চালানো এবং অভিযোগ গঠন করায় বিচারক সোহেল রানার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন মামুন চৌধুরী। পরে ১৪ আগস্ট হাইকোর্ট সোহেল রানাকে তলব করেন। ধার্য তারিখ ২১ আগস্ট তিনি হাইকোর্টে হাজির হন। পরবর্তী সময়ে জবাব দাখিল করলেও তা সন্তোষজনক না হওয়ায় ২৮ আগস্ট সোহেল রানার প্রতি আদালত অবমাননার স্বপ্রণোদিত রুল দেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি ৯ অক্টোবর তাকে হাইকোর্টে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

আদালত অবমাননার রুলের পর গত ৩১ আগস্ট বিচারক সোহেল রানা সেই মামলার অভিযোগ গঠনের আদেশ প্রত্যাহার করেন। হাইকোর্টের ধার্য তারিখে হাজির না হয়ে তিনি সময়ের আবেদন জানান। হাইকোর্ট ১২ অক্টোবর পরবর্তী তারিখ ঠিক করেন। সে অনুযায়ী বিচারক সোহেল রানা হাইকোর্টে হাজির হন এবং আদালত অবমাননার বিষয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তার ক্ষমা প্রার্থনা গ্রহণ না করে হাইকোর্ট কারাদণ্ড দেন এবং জরিমানা করেন।

(ঢাকাটাইমস/০৬ফেব্রুয়ারি/এফএ)