অরিত্রীর আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলার রায় আজ

প্রকাশ | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৪৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীকে আত্মহত্যার প্ররোচণার অভিযোগে স্কুলটির সাময়িক বরখাস্ত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও শাখা প্রধান জিনাত আক্তারের বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণার দিন আজ। 

বৃহস্পতিবার ঢাকার ১২তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুন রায় ঘোষণা করার কথা রয়েছে।

এর আগে ২৭ নভেম্বর ঢাকার ১২তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুন মামলার উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ২১ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন। ওইদিন রায় প্রস্তুত না হওয়ায় তারিখ পিছিয়ে ৮ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর অরিত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় তার বাবা দিলীপ অধিকারী বাদী হয়ে রাজধানীর পল্টন থানায় মামলা করেন। এরপর ২০১৯ সালের ২০ মার্চ এ দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কামরুল হাসান তালুকদার। আসামিদের নির্দয় ব্যবহারে অরিত্রী আত্মহত্যায় প্ররোচিত হয় বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় শ্রেণিশিক্ষক হাসনা হেনাকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয় অভিযোগপত্রে।

একই বছরের ১০ জুলাই আদালত দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন, যার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার শুরু হয় এ মামলায়। 

অভিযোগ গঠনের পর ২৫ নভেম্বর এ মামলার বাদী ও অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারীর জবানবন্দির মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এ মামলার ১৮ সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর পরীক্ষা চলাকালে অরিত্রীর কাছে মোবাইলফোন পান শিক্ষক। মোবাইলফোনে নকল করেছে- এমন অভিযোগে অরিত্রীর মা-বাবাকে নিয়ে স্কুলে যেতে বলা হয়। দিলীপ অধিকারী তার স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে স্কুলে গেলে ভাইস প্রিন্সিপাল তাদের অপমান করে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। অধ্যক্ষের কক্ষে গেলে তিনিও একই রকম আচরণ করেন। এসময় অরিত্রী দ্রুত অধ্যক্ষের কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। পরে শান্তিনগরে বাসায় গিয়ে তিনি দেখেন, অরিত্রী তার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে।

(ঢাকাটাইমস/০৮ফেব্রুয়ারি/এফএ)