ক্ষুদে পাঠকের পদচারণায় মুখর শিশুপ্রহর

প্রকাশ | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:২৭ | আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:০১

তানিয়া আক্তার, ঢাকা টাইমস

অমর একুশে বইমেলায় শিশুদের মূল আকর্ষণ শিশুপ্রহর। নতুন প্রজন্মকে বই পড়ায় আগ্রহী করে তুলতেই মেলার একটি অংশকে শিশুপ্রহর হিসেবে ঘোষণা করা হয় । ডিজিটাল যুগে ডিভাইস আসক্তি থেকে দূরে রাখতে এবং  শিশুতোষ বইয়ের সাথে পরিচিত করাতে অভিভাবকেরা শিশুদের নিয়ে এসেছেন মেলা প্রাঙ্গণে।

শুক্রবার সকালে  সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মেলা প্রাঙ্গণে সাজানো নান্দনিক শিশু চত্বরে বাহারি বইয়ের  পাশাপাশি প্রতিবারের মত এবারও  শিশুপ্রহরের মূল আকর্ষণ সিসিমপুরের জনপ্রিয় চরিত্রদের দেখে উচ্ছ্বসিত শিশুরা।

নানা বয়সী শিশু-কিশোররা দলবেঁধে মেলায় এসেছে অভিভাবকদের সঙ্গে। স্টল ঘুরে বই দেখার আগে একে একে মঞ্চে আসা সিসিমপুরের টুকটুকি, হালুম, ইকরি, শিকুদের নাচের তালে তালে মুগ্ধ শিশুরা।

ইকরির মিষ্টি কথা বিশেষ পছন্দ আরিবার। তৃতীয় শ্রেণী পড়ুয়া এই ক্ষুদে পাঠক বই কেনার আগে সিসিমপুরের প্রিয় চরিত্র দেখতে মঞ্চে নজর তার।

আরিবা ঢাকা টাইমসকে বলে,  আমার বই পড়তে ভালো লাগে। টিভিতে সিসিমপুর দেখতেও ভালো লাগে। সবচেয়ে বেশি পছন্দ ইকরিকে। কারণ ইকরি মিষ্টি করে কথা বলে।

উদ্যানের প্রশস্ত জায়গায় প্রাণখুলে জ্ঞানের রাজ্যে বিচরণের জন্য আয়োজনের কমতি রাখেনি আয়োজকরা। এ নিয়ে সন্তুষ্টিও প্রকাশ করতে দেখা গেছে অভিভাবকদের।

শিল্পপতি মোস্তফা রায়হান প্রথমবারের মতো দ্বিতীয় শ্রেণি পড়ুয়া আদরা বেগম রায়নাকে নিয়ে এসেছেন মেলা প্রাঙ্গণে। সিসিমপুর উন্মুক্ত রাখায় ভালো লাগা বেড়ে গেছে বলেও জানান তিনি।

মোস্তফা রায়হান ঢাকা টাইমসকে বলেন, এত এত বই আর স্টলগুলোও বেশ সুন্দর করে সাজানো। সিসিমপুরের শো বিনামূল্যে দেখার সুযোগ করে দিয়েছে এটাও ভালো বিষয়।

ডিজিটাল যুগে শিশুদের ডিভাইস আসক্তি থেকে দূরে রাখতে শিশুতোষ বইয়ের সাথে পরিচিত করতে প্রচেষ্টার কমতি নেই বাবা -মায়ের।

সরকারি চাকরিজীবী রিমা সুলতানা আড়াই বছর বয়সী জুনাইরাকে নিয়ে এসেছেন মেলা প্রাঙ্গণে। জ্ঞানের রাজ্যের সঙ্গে পরিচিত করাতে  বই দেখাচ্ছেন ঘুরেঘুরে  ।

সরকারি চাকরিজীবী রিমা সুলতানা ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘এটা অনেক আনন্দময় রাজ্য। তাই শিশুবয়স থেকে বইয়ের সঙ্গে পরিচিত করাতে এসেছি।’

উল্লেখ্য, শুক্র ও শনিবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলে শিশুপ্রহর।

 (ঢাকাটাইমস/০৯ফেব্রুয়ারি/টিএ/এসএম)