মিয়ানমারে সংঘাত
সীমান্তে খালি চোখেই দেখা যাচ্ছে গোলাগুলি
প্রকাশ | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৪৪ | আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৫০
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্ষ্যং উনছিপ্রাং এলাকার সঙ্গে মিয়ানমারের দূরত্ব মাত্র দুই কিলোমিটার। কাছাকাছি হওয়ায় মিয়ানমারে কী হচ্ছে তা অনেকটা খালি চোখেই দেখা যাচ্ছে। আতঙ্ক থাকলেও ঝুঁকি নিয়ে এসব দৃশ্য দেখছেন অনেকে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত সীমান্তের কাছাকাছি এলাকা গোলাগুলি আর মর্টার শেল বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেঁপে উঠেছে। বজ্রপাতের মতো শোনা গেছে গুলির শব্দ।
স্থানীয় বলছেন, সীমান্তের ওপারে ঢেঁকিবুনিয়া এলাকায় মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ঘাঁটিগুলো দখল করে দক্ষিণ দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আরাকান আর্মি ও অন্যান্য বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো। টেকনাফ অংশে মিয়ানমারের শহর শীলখালী, বলিবাজার ও কুইরখালী থেকে এসব বিস্ফোরণের শব্দ আসছে বলে জানান তারা।
উনছিপ্রাংয়ের স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় ভারী অস্ত্রের বিকট শব্দ শুনতে পেয়েছি। এই শব্দে এলাকা কেঁপে উঠছে। মনে হচ্ছে বজ্রপাত হচ্ছে। এরকম শব্দ জন্মের পরও শুনিনি।
সীমান্ত সংলগ্ন চিংড়ি ঘেরের মালিক করিম বলেন, মিয়ানমারে কী হচ্ছে আমার ঘের থেকে সেটি খালি চোখে দেখা যায়। বিকালের দিকে কালো পোশাক পরা মানুষের সঙ্গে মিয়ানমারের নাসাকা (বিজিপি) সঙ্গে গুলি বিনিময় হচ্ছে। কিছু মানুষ আমাদের সীমান্তে বিলার দ্বীপের দিকে আশ্রয় নিয়েছে।
আরও পড়ুন> মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা সেনাদের কী হতে পারে?
হোয়াইক্ষ্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ আনুয়ারী বলেন, উনছিপ্রাং, কানজড়পাড়া, খারাংখালী ঝিমনখালী এলাকায় ভারী অস্ত্রের বিকট শব্দ শোনা যায়। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে সীমান্তের কাছাকাছি থাকা চিংড়ি চাষিরা।
একই কথা জানিয়েছেন হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের উনঝিপ্রাং ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রশিদ আহমদও।
গত অক্টোবরে জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে সামরিক টহল চৌকি, অস্ত্রাগার ও বেশ কিছু শহরের নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে বিদ্রোহীদের হাতে। বাংলাদেশের সীমান্ত লাগোয়া রাখাইন রাজ্যের বিভিন্ন এলাকাও একের পর এক হাতছাড়া হচ্ছে জান্তা বাহিনীর। তীব্র গোলাগুলিতে বাংলাদেশের ভেতরে সীমান্তজুড়ে বেড়েছে আতঙ্ক। শেলের আঘাতে ইতোমধ্যে বাংলাদেশে প্রাণ গেছে দুজনের।
আরও পড়ুন>সীমান্ত সামলাতে চতুর্মুখী আলোচনায় সরকার
এদিকে গণতন্ত্রপন্থি বিদ্রোহীদের হামলায় টিকতে না পেরে কক্সবাজার, বান্দরবানের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন মিয়ানমারের কয়েক শ সেনা ও সরকারি কর্মকর্তা।
(ঢাকা টাইমস/০৯ফেব্রুয়ারি/পিএস/ইএস)