হামদর্দে ইউনানি দিবস পালিত

ইউনানি চিকিৎসায় স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার দাবি

প্রকাশ | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৩২ | আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৪০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

আন্তর্জাতিক ইউনানি দিবস উদযাপন করেছে ‘হামদর্দ ল্যাবরেটরীজ (ওয়াক্ফ) বাংলাদেশ’। দিবসটি উপলক্ষে রবিবার সকাল ১১টায় রাজধানীর বাংলামোটরে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এমপি। গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। সভাপতিত্ব করেন হামদর্দ ল্যাবরেটরীজ (ওয়াক্ফ) বাংলাদেশের চিফ মোতাওয়াল্লি ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন হামদর্দ বাংলাদেশের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাকীম মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন রাসেল। কী নোট উপস্থাপন করেন হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের একাডেমিক ইউনানি চেয়ার অধ্যাপক ডা. মনোয়ার হোসেন কাজমী। হামদর্দের ইউনানি বিষয়ক তৎপরতা তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক বিপণন মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পরিচালক তথ্য ও গণসংযোগ আমিরুল মোমেনীন মানিক।

এ সময় প্রধান অতিথি ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এমপি বলেন, বিকল্প ওষুধ হিসেবে ইউনানিসহ ভেষজ ওষুধকে গুরুত্ব দিতে হবে। সারাবিশ্বেই এখন ভেষজ ওষুধের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ভারতীয় উপমহাদেশে ইউনানি চিকিৎসা খুব গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। বর্তমানে এই চিকিৎসা পদ্ধতি বাংলাদেশ ও ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্যবহার হচ্ছে। সুতরাং এ বিষয়ে গবেষণা বাড়াতে হবে। এসব চিকিৎসা যেন মানুষ সহজভাবে পেতে পারে সেদিকে প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য রয়েছে।

তিনি বলেন, বিকল্প চিকিৎসা ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশেষভাবে উদ্যোগী হয়েছেন। তার উৎসাহে বাংলাদেশের শহর বন্দর নগর, এমনকি প্রত্যন্ত জনপদেও বিকল্প চিকিৎসা ও শিক্ষা ব্যবস্থাকে ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ চলছে।  সরকারের পক্ষ থেকে এ বছর ৩৩ জন ইউনানি চিকিৎসককে জেলা পর্যায়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসা পদ্ধতির উন্নয়নে সরকারের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান বিদেশে ওষুধ রপ্তানি শুরু করেছে।

অনুষ্ঠানের গেস্ট অব অনার ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা হামদর্দের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশে ইউনানী-আয়ুর্বেদিক স্বাস্থ্য ও শিক্ষাসেবা বিস্তারে বিপ্লব করেছে হামদর্দ। এ সময় হামদর্দের মতো আরও অনেক প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ভারত সবসময় বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছে।

সভাপতির বক্তব্যে ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া বলেন, সমগ্র বাংলাদেশের মানুষের কাছে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবাকে ছড়িয়ে দিতে হামদর্দের মাধ্যমে আমরা নিরন্তরভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ইউনানি আয়ুর্বেদিক খাতের অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে ব্যাপকভাবে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দরকার। ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া এ সময় ইউনানি-আয়ুর্বেদিক সেক্টরের জন্য স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদ সদস্য ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি, হামদর্দ ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত; জাতীয় অধ্যাপক ও হামদর্দ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান, ওয়াক্ফ প্রশাসক আবু সালেহ মহিউদ্দিন খাঁ, হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল প্রমুখ। 

(ঢাকাটাইমস/১০ফেব্রুয়ারি/এইচএম/এসআইএস)