বিয়েবহির্ভূত সম্পর্ক: সাজা পেলেন চট্টগ্রামের এএসপি সৌমিত্র

বেতন বৃদ্ধি বন্ধ

প্রকাশ | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৪৫ | আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:১৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে স্ত্রী ও সন্তানের প্রতি উদাসীন আচরণ, পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাখা ও ভরণপোষণ না দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চট্টগ্রামের সহকারী পুলিশ সুপার (স্টাফ অফিসার টু ডিআইজি) সৌমিত্র চাকমাকে লঘুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সাজা অনুযায়ী দুই বছর তার বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি স্থগিত থাকবে। তিনি এই মেয়াদের কোনো বকেয়া প্রাপ্য হবেন না এবং এই মেয়াদ বেতন বৃদ্ধির জন্য গণনা করা হবে না।

সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এই সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়। গত ৮ ফেব্রুয়ারি এই আদেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শৃঙ্খলা-২ শাখা।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সৌমিত্র চাকমা (বিপি-৮৮১৪১৬৬৩০১), ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে ২০১৪ সালের ৫ অক্টোবর কৃষি কর্মকর্তা মুক্তা চাকমাকে বিয়ে করেন। দাম্পত্য জীবন অতিবাহিতকালীন সময়ে চট্টগ্রামের কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট এর সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সমাপ্তি চাকমার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়ান। এরপর থেকে তিনি স্ত্রী ও সন্তানের সঙ্গে উদাসীন আচরণ করেন এবং যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাখাসহ ভরণপোষণ প্রদানে বিরত থাকেন। এ বিষয়ে ২০১৯ সালের ২৯ এপ্রিল ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি সমাপ্তি চাকমাকে বিয়ে করেছেন বলে মিথ্যা তথ্য দেন। পরবর্তী সময়ে তিনি প্রথম স্ত্রী মুক্তা চাকমাকে ডিভোর্স দিয়ে সমাপ্তি চাকমাকে বিয়ে করেন। পরে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু হয়। ২০২২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি তিনি শুনানিতে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য দেন। একই বছরের ৭ এপ্রিল বিষয়টি তদন্তের জন্য কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়। তদন্তে অভিযোগের সত্যতার প্রমাণ পাওয়া যায়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিভাগীয় মামলার তদন্ত কর্মকর্তার মতামত অনুসারে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গঠিত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় সার্বিক পর্যালোচনান্তে সৌমিত্র চাকমাকে  (বিপি-৮৮১৪১৬৬৩০১), সহকারী পুলিশ সুপার এবং স্টাফ অফিসার টু ডিআইজি, রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়, চট্টগ্রাম এর বিরুদ্ধে রুজুকৃত বিভাগীয় মামলায় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ বিধি ৪ এর উপ-বিধি ৩(খ) মোতাবেক আদেশ প্রদানের আরিখ হতে ০২ (দুই) বছরের জন্য ‘বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি স্থগিত রাখার’ লঘুদণ্ড প্রদান করা হলো। তিনি ভবিষ্যতে উক্ত মেয়াদের কোনো বকেয়া প্রাপ্য হবেন না এবং উক্ত মেয়াদ বেতন বৃদ্ধির জন্য গণনা করা যাবে না। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।’

(ঢাকাটাইমস/১২ফেব্রুয়ারি/এএম/ইএস)