সরকারের ইশতেহার বাস্তবায়নে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর
প্রকাশ | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:০৫
দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে এবং সরকারকে তাদের নির্বাচনি ইশতেহার বাস্তবায়নের জন্য বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাসহ গণমাধ্যম ও অন্যান্য বেসরকারি খাতকেও সহযোগী হিসেবে পাশে রাখা প্রয়োজন বলে রাজধানীতে আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় উঠে এসেছে।
বুধবার সেগুনবাগিচায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর শীর্ষ সমন্বয়কারী প্রতিষ্ঠান অ্যাসোসিয়েশন অব ডেভেলপমেন্ট এজেন্সিজ ইন বাংলাদেশ (এডাব) কর্তৃক আয়োজিত ‘উন্নয়ন প্রচেষ্টায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ও গণমাধ্যমের অংশীদারিত্ব’ বিষয়ক এক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন বক্তারা।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এডাব চেয়ারপারসন আব্দুল মতিন।
অনুষ্ঠানে আয়োজকদের পক্ষ থেকে নির্বাচনি ইশতেহার অনুযায়ী নতুন সরকার যাতে উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে পারে সেজন্য বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাসমূহের পক্ষ থেকে সার্বিকভাবে সহায়তা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
বাংলাদেশে কর্মরত বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর সমন্বয়কারী ও প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন হিসেবে প্রায় চার যুগের বেশি সময় ধরে দেশের সার্বিক উন্নয়নে সরকারের সহযোগী হিসেবে অবদান রেখে আসছে এডাব। দারিদ্র্য বিমোচন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সুশাসন প্রতিষ্ঠা, মানবাধিকার রক্ষা, পরিবেশ উন্নয়ন, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, দুর্যোগ মোকাবিলায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাসমূহের ভূমিকা সর্বজন স্বীকৃত এবং প্রশংসিত।
বক্তারা বলেন, সরকারের ধারাবাহিকতায় অবকাঠামোসহ দেশের সার্বিক উন্নয়ন হয়েছে, একথা সত্য। তবে, স্থায়ী উন্নয়নের স্বার্থে দুর্নীতি প্রশমন, সুশাসন অর্জন, পরিবেশ সংরক্ষণ, মাদক নিয়ন্ত্রণ, শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষায় আরও যুগোপযোগী ও স্থায়িত্বশীল উদ্যোগ প্রয়োজন। একইসঙ্গে গণমুখী শিক্ষা, বেকারত্ব দূরীকরণের বিষয়েও আরও কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এডাবের পরিচালক একেএম জসীম উদ্দিন গোলটেবিল বৈঠকে বাংলাদেশে কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার প্রায় ৪০ জন সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
আলোচকরা সরকারের বিগত সময়ের উন্নয়ন কার্যক্রমকে ইতিবাচক হিসেবে বিবেচনা করে বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়েও কথা বলেন।
আলোচনায় উঠে আসে- জিনিসপত্রের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধি, মানবাধিকার লঙ্ঘন, বার বার পরিবর্তনশীল শিক্ষা কার্যক্রম, স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি, হয়রানি, পরিবেশ দূষণ, মাদক, ইভটিজিং, কিশোর গ্যাং কালচার, মূল্যবোধের অবক্ষয়, পারিবারিক বন্ধন শিথিল হওয়ার বিষয়গুলো। এসব বন্ধ করতে দেশ ও জাতি গঠনে লাগামহীন দুর্নীতি রোধ, সুশাসন প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা ও গণমাধ্যমের জোরালো ভূমিকা রাখার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
একইসঙ্গে উন্নয়ন সাংবাদিকতার প্রতি গুরুত্বারোপ করে মিডিয়া হাউজকে করপোরেটের প্রভাব থেকে মুক্ত হয়ে কাজ করার ওপর জোর দেওয়া হয়। সামাজিক উন্নয়নে এনজিও, গণমাধ্যম ও এডাবের সমন্বিতভাবে কাজ করা দরকার বলেও মতামত ব্যক্ত করা হয়।
(ঢাকা টাইমস/১৪ফেব্রুয়ারি/এসএ)