২৮ বছরেও বিচার পায়নি পুলিশের গুলিতে নিহত আলতামতির পরিবার

প্রকাশ | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪০

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
বামে আলতামতির বড় ছেলে রিপন, মাঝে আলতামতি, ডানে ছোট ছেলে শিপন (ছবি-সংগৃহীত)।

১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপির গণতন্ত্র বিরোধী একদলীয় নির্বাচনে ভোট গ্রহণের দিন পুলিশের গুলিতে নিহত হন ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ভাতুড়িয়া গ্রামের আলতামতি। ঘটনার ২৮ বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত বিচার পায়নি তার  পরিবার। আলতামতির এতিম দুই সন্তান রিপন শিপনকে পুনর্বাসন করতেও কেউ এগিয়ে আসেনি। ফলে দুঃখ কষ্টের মধ্যেই চলছে তাদের সংসার।

জানা যায়, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ভাতুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের পাশে আলতামতি তার বছরের শিশু সন্তানকে খুঁজতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হন।  তিনি ওই গ্রামের মৃত আব্দুর রহমান বিশ্বাসের মেয়ে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আলতামতির মৃত্যুর পর  ১৯৯৮ সালের দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিছু আর্থিক অনুদান দেন। এরপর দীর্ঘ দিন পার হয়ে গেলেও আর কেউ খোঁজ খবর নেয়নি। ইতোমধ্যে ২৮ বছর পার হয়ে গেছে। আলতামতির দুই সন্তান এখন অনেক বড় হয়েছে। তারা বেশি লেখাপড়াও শিখতে পারেনি। তারা অন্যের দোকানে কাজ করে জমি বর্গা নিয়ে সংসার চালায়।

আলতামতির বড় ছেলে রিপন জানান, তার মা মারা যাওয়ার পরে - বছর হরিণাকুন্ডু উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মশিউর রহমান জোয়াদ্দারের উদ্যোগে মামাদের সহযোগিতায় তার মায়ের মৃত্যু বার্ষিকী পালন করা হয়েছে। এখন আর কেউ পালন করে না। তিনি আরও জানান আমাদের বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মামাদের অনুপ্রেরণায় মায়ের মৃত্যু জনিত কারণে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ি। কিন্তু দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও সরকারি কোনো সুযোগ সুবিধা পায়নি আমরা। আলতামতির দুই সন্তান তাদের সরকারি সহায়তাসহ আলতামতিকে রাষ্ট্রীয় শহীদ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট দাবি জানিয়েছেন।

(ঢাকাটাইমস/১৫ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/পিএস)