বিএনপি-জামায়াত আমলে রেলবিভাগ মুখ থুবড়ে পড়েছিল, আ.লীগ উন্নয়ন করেছে: রেলমন্ত্রী

প্রকাশ | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩৮ | আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৩৪

সৈয়দপুর (নীলফামরী) প্রতিনিধি, ঢাকা  টাইমস

রেলপথ মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেছেন, ‘বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের আমলে রেলওয়েতে গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে অসংখ্য দক্ষ ও যোগ্য লোকবল অবসরে পাঠানোয় মুখ থুবড়ে পড়েছিল এই সেক্টর। পরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রেলওয়ের উন্নয়ন করেছে।’

শনিবার নীলফামারীর সৈয়দপুরে রেলওয়ে কারখানা পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

এ সেক্টরের উন্নয়ন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘আগে আমাদেরকে চোর থেকে ভালো মানুষ হতে হবে, তাহলেই দেশ উন্নত হবে এবং রেলওয়ে কারখানাও আধুনিক হবে এবং উন্নয়ন ঘটবে। আমরা চেষ্টা করছি। এখন দেশবাসী সম্মিলিতভাবে রেল ও দেশকে রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, অবকাঠামোসহ জনবল নিয়োগে দ্রুততম সময়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং রেলওয়ের ভূসম্পত্তিসহ সকল স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ কাজে লাগিয়ে সামগ্রিক উন্নয়ন করা হবে। তবে সৈয়দপুরে রেলওয়ে হাসপাতালকে মেডিকেল কলেজে রূপান্তরের বিষয়ে কোন উত্তর দেননি তিনি। একইভাবে অবৈধভাবে দখল হয়ে যাওয়া বাংলো, কোয়ার্টার ও জায়গা উদ্ধারে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে সে বিষয়েও কোনো কথা বলেননি।

গত ১৫ বছরে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় আধুনিকায়ন বা প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ ও বরাদ্দ বৃদ্ধির পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি কেন? এমন প্রশ্নের উক্তরে মন্ত্রী বলেন, আমরা চেষ্টা করছি। অনেক ক্ষেত্রে সফল হলেও এক্ষেত্রে এখনও প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। নতুন এসেছি, অবশ্যই কাজ করবো।

দরিদ্র জনগোষ্ঠীর যারা রেলওয়ের জমিতে বসবাস করছেন তাদের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এ নিয়ে ক্যাটাগরি নির্ধারণ করা হচ্ছে। কাজ শেষ হলে সহজ শর্তে লিজ প্রদান করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। আর যারা দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ করেছেন তাদের মানসিকতা দেশ বিরোধী। তারা জেনে বুঝে অন্যায়ভাবে অবৈধ পন্থায় স্থাপনা করেছেন। তাদের ব্যাপারেও তালিকা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দক্ষ জনবল ও কারিগর অবসর নেয়ায় রেলওয়ে কারখানা হুমকির মুখে পড়েছে। এমতাবস্থায় নতুন নিয়োগ দেয়া ও তাদের দ্রুত প্রশিক্ষণের উদ্যোগের বিষয়েও তিনি ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন এবং বিকল্প উপায়ে লোকবল নেওয়া যায় কিনা তা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন।

এসময় রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবির, মহাপরিচালক কামরুল আহসান, জেনারেল ম্যানেজার অসিম কুমার তালুকদার, ডিজিএম পার্থ সরকার, প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী (পশ্চিমাঞ্চল) মো. কুদরত ই খুদা, নীলফামারী জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ, নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ) আসনের এমপি সিদ্দিকুল আলম, রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয়  তত্ত্বাবধায়ক সাদেকুর রহমান, কর্ম ব্যবস্থাপক (ডাব্লু এম) শেখ হাসানুজ্জামান, সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ ইসমাইল ও সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোখছেদুল মোমিনসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে মন্ত্রী পার্বতীপুর ক্যারেজ লোকোমোটিভ কারখানা পরিদর্শন করেন।

(ঢাকাটাইমস/১৭ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/পিএস)