অমর একুশে উদযাপনে সকলের সহযোগিতা চাইলেন ঢাবি উপাচার্য

প্রকাশ | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩৪ | আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:২৯

ঢাবি প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্‌যাপনের ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকল সদস্য, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, সিটি কর্পোরেশন, রাজনৈতিক দল, সংগঠন, গণমাধ্যমকর্মী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ বিভিন্ন সংস্থা ও সর্বসাধারণের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

সোমবার অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এই সহযোগিতা চান।

এসময় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, অমর একুশে উদ্‌যাপন কেন্দ্রীয়  সমন্বয় কমিটির সমন্বয়কারী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া, যুগ্ম সমন্বয়কারী ও শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. আব্দুস ছামাদ, যুগ্ম সমন্বয়কারী ও শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা এবং প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর বহমান উপস্থিত ছিলেন।

উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, রাষ্ট্রাচার অনুযায়ী একুশের প্রথম প্রহরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদিমূল প্রস্তুত করার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে এবং যথাসময়েই তা সম্পন্ন হবে। এ বছর প্রতিটি সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এবং ব্যক্তি পর্যায়ে শহীদ মিনারের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে পারবেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক এই রাষ্ট্রাচার সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে রাত ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ধৈর্য ধারণ করে সুশৃঙ্খলভাবে অবস্থান করতে সর্বস্তরের জনসাধারণের প্রতি উপাচার্য আহ্বান জানান।

উপাচার্য বলেন, রাত ১২টা ১ মিনিটে একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদিতে প্রথম পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের মাননীয় স্পিকার, বাংলাদেশের মাননীয় প্রধান বিচারপতি, মাননীয় মন্ত্রীবর্গ, জাতীয় সংসদের মাননীয় ডেপুটি স্পিকার ও জাতীয় সংসদের মাননীয় বিরোধী দলীয় নেতা। এরপর পর্যায়ক্রমে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন তিন বাহিনীর প্রধানবৃন্দ। সম্মানিত ভাষা সেনিকবৃন্দ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য, সম্মানিত সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্যবৃন্দ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, অনুষদের ডিনবৃন্দ ও হলের প্রাধ্যক্ষবৃন্দ। এরপর সর্বস্তরের জনসাধারণের শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের জন্য শহীদ মিনার উন্মুক্ত থাকবে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল আরও বলেন, সর্বস্তরের জনসাধারণ পলাশী মোড় হয়ে সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ও জগন্নায় হলের সামনে দিয়ে শহীদ মিনারে যাবেন এবং পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের পর সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয় খেলার মাঠের সামনের রাস্তা দিয়ে দোয়েল চত্বর ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বাস্তা দিয়ে চানখাঁরপুল হয়ে শুধুমাত্র প্রস্থান করা যাবে, শহীদ মিনারের দিকে আসা যাবে না। শুদ্ধাঞ্জলি অর্পনের ক্ষেত্রে যথাযথভাবে রুটম্যাপ অনুসরণ করতে হবে। প্রবেশপথে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ বিএনসিসি, রেড ক্রিসেন্ট, রোভার স্কাউটস, রেস্তার ও স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ বিভিন্ন দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন। তাদেরকে যথাযথ সহযোগিতা প্রদানের জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মোট ২১ বার সরকার প্রধান হিসেবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদিতে তার ২১ বারের পুষ্পস্তবক অর্পণের দুর্লভ ছবি নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/১৯ফেব্রুয়ারি/এসকে/এসএম)