ফের পেছাল সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলার রায়

প্রকাশ | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:১৯ | আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৪২

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

৩৫ বছর আগের আলোচিত সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলার রায় ফের পেছানো হয়েছে। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইনের আদালত ১৩ মার্চ রায় ঘোষণার জন্য নতুন দিন ধার্য করেছেন। মামলাটির রায় ঘোষণার জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন না হওয়ায় তারিখ পেছানো হয়েছে বলে জানিয়েছে আদালত সূত্র।

এদিকে আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকাল থেকেই আদালত প্রাঙ্গণের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। মোতায়েন করা হয় বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য। সকাল থেকেই আদালত পাড়ায় পুলিশের বাড়তি উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। 

ডিএমপির কোতোয়ালি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. শাহিনুর ইসলাম ঢাকা টাইমসকে বলেন, “আদালত প্রাঙ্গণে সবসময়ই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকে। আজকে যেহেতু একটি আলোচিত হত্যা মামলার রায়, সেই হিসেবে আদালত এলাকায় নিরাপত্তা বাড়তি রয়েছে। আদালত প্রাঙ্গণে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পাশাপাশি পুলিশের ক্রাইম ডিভিশনসহ গোয়েন্দা সংস্থারও বাড়তি নজরদারি আছে আদালত প্রাঙ্গণে।

৩৫ বছর আগে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী এলাকায় গুলি করে হত্যা করা হয় সগিরা মোর্শেদ সালামকে (৩৪)। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় রায় ঘোষণার জন্য আজ মঙ্গলবার দিন ধার্য হয়েছিল। রায়ের তারিখ পরিবর্তনের জন্য মামলার গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের আদালতে আনা হয়নি।

মামলার আসামিরা হলেন- আনাস মাহমুদ ওরফে রেজওয়ান (৫৯), ডা. হাসান আলী চৌধুরী (৭০) ও তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদ ওরফে শাহীন (৬৪) এবং মারুফ রেজা ও মন্টু মন্ডল। 

প্রসঙ্গত, এ মামলায় ২০১৯ সালের ১৬ জানুয়ারি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) আদালতে চার্জশিট দেয়। এরপর ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, সগিরার কাজের মেয়েকে মারধর করেন আসামি ডা. হাসান আলী চৌধুরী। এ নিয়ে পারিবারিক বৈঠকে সগিরাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন শাহীন। আসামিরা নিজেদের বাসায় বসে সগিরাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ডা. হাসান আলী তার চেম্বারে অন্য আসামি মারুফ রেজার সঙ্গে ২৫ হাজার টাকায় হত্যার চুক্তি করেন।

১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই বিকাল ৫টার দিকে সগিরা মোর্শেদ সালাম বাসা থেকে বের হয়ে তার দ্বিতীয় শ্রেণিপড়ুয়া বড় মেয়ে সারাহাত সালমাকে বাসায় আনতে স্কুলের দিকে যাচ্ছিলেন। স্কুলের সামনে পৌঁছামাত্রই অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তার হাতের বালা ধরে টান দেয়। বালা দিতে অস্বীকার করায় সগিরাকে গুলি করা হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী আব্দুস সালাম চৌধুরী রমনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

(ঢাকাটাইমস/২০ফেব্রুয়ারি/এইচএম)