উপজেলা নির্বাচনে জামানত বৃদ্ধির প্রস্তাব অস্বাভাবিক: মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম কাউন্সিল

প্রকাশ | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:০৪

অনলাইন ডেস্ক

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রর্থীদের জামানত ১০ হাজার টাকা থেকে ১০ গুণ বৃদ্ধি করে ১ লাখ টাকা করার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম কাউন্সিল। 

বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম কাউন্সিল সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির বলেন, নির্বাচন কমিশন উপজেলা নির্বাচনের জামানাত বাড়ানোর যে প্রস্তাব করেছে তা বাস্তব সম্মত নয়। জামানত বৃদ্ধির এই হার অস্বাভাবিকও।

শহিদুল ইসলাম কবির বলেন, স্বাধীন স্বার্বভৌম বাংলাদেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে যারা উপজেলা নির্বাচনে অংগ্রহনের ইচ্ছাপোষন করছে, এমন সৎ মানুষগুলো যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে সে কারণে নির্বাচন কমিশন জামানত ১০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ টাকা বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে। এই প্রস্তাব বাস্তবতা বিবর্জিত।

অস্বাভাবিক জামানত বৃদ্ধিকে নির্বাচন কমিশনের সৎ ও যোগ্য মানুষদেরকে বিভিন্নভাবে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার অপপ্রয়াস বলে অভিহিত করেন শহিদুল ইসলাম কবির।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন কালোটাকার মালিক, দুর্নীতিবাজ, টেন্ডারবাজ, পেশিশক্তির গডফাদার ও অপরাধীদেরকে জনপ্রতিনিধি সিলেকশনের মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে।

বর্তমান নির্বাচন কমিশন নির্বাচনে কালোটাকার ছড়াছড়ি ও পেশিশক্তির ব্যাবহার অতীতে বন্ধ করতে পারেনি দাবি করে তিনি আরও বলেন, যেসব নির্বাচনে আলোচিত অভিযোগ কমিশনের কর্মকর্তাদের দৃষ্টিগোচর হয়ে পত্র চালাচালি হয়েছে এমন ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো শাস্তিমূলক ব্যাবস্থা দেশবাসী দেখতে পারেনি।

নির্বাচন কমিশন এসব বিষয়ে দৃষ্টিপাত করে প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যাবস্থা না করে অপ্রয়োজনীয় জামানত বৃদ্ধির বিষয় সামনে এনে নিজেদের কাজ দেখানোর চেষ্টা হাস্যকর ও অযোক্তিক।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন যদি দুর্নীতি মুক্ত স্থানীয় সরকার ব্যাবস্থা গড়ে তুলতে বদ্ধ পরিকর হয় তবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জামানত ১০ হাজার টাকা বহাল রাখতে হবে, কালোটাকার ছড়াছড়ি ও পেশিশক্তির ব্যবহার কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ এবং নিষিদ্ধ করতে হবে। অতীতে নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গ করে যারা অপরাধ করেছে তাদের বিষয়ে কী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে তা জনগনকে অবহিত করতে হবে।

(ঢাকাটাইমস/২১ফেব্রুয়ারি/জেবি/এসআইএস)