কুবির শিক্ষক-কর্মকর্তার পাল্টাপাল্টি জিডি

প্রকাশ | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:৩০

কুবি প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দপ্তরে গত মঙ্গলবার বাগবিতণ্ডার ঘটনায় শিক্ষকরা নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ জানিয়ে সদর দক্ষিণ থানায় সাধারণ ডায়েরির (জিডি) পর এবার একই ঘটনায় শিক্ষকরা কর্মকর্তাদের  প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন—এমন অভিযোগে জিডি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ জাকির হোসেন।

জিডিতে সাত শিক্ষকের নাম উল্লেখসহ আরও ১৫ থেকে ২০ জন অজ্ঞাতনামাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেন মোহাম্মদ জাকির হোসেন।

জিডিতে বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নূর মোহাম্মদ রাজু, ফার্মেসী বিভাগের প্রভাষক মো. কামরুল হাসান, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের, মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী হাসান, আইসিটি বিভাগের প্রভাষক আলীমুল রাজীসহ আরও ১৫ থেকে ২০ জন কথা উল্লেখ করা হয়। 

এদিকে অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ জাকির হোসেন গত ২১ ফেব্রুয়ারিতে করা তার জিডিতে উল্লেখ করেন, ১৯ তারিখ বিকাল সাড়ে চারটায় পূর্ব অনুমতিক্রমে দাপ্তরিক কাজে উপাচার্যের কক্ষে গেলে ভেতরে অবস্থান করা নূর মোহাম্মদ রাজুসহ অন্যান্য বিবাদী আমাকে ও অন্যান্য অফিসারদের ‘এখানে কেন এসেছো' বলে অশ্লীল গালাগালি ও মারমুখী ভঙ্গীতে আমাদেরকে শারীরিকভাবে নাজেহাল করে এবং ধাক্কা দিয়ে জোর করে উপাচার্য মহোদয়ের কক্ষ থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করে। আপনারা আমাদের সাথে এমন আচরণ কেন করছেন। আমরা কি মানুষ নই? 

পরবর্তীতে ভেতরে থাকা উল্লিখিত শিক্ষকরা আমাদের দিকে তেড়ে এসে টানা-হেঁচড়া করে উপাচার্য স্যারের কক্ষ থেকে আমাকে এবং আমার সঙ্গে থাকা পরিচালক মো. দেলোয়ার হোসেন স্যারকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করে। বিকট শব্দ ও হট্টগোল শুনে অন্যান্য অফিসারগণ ভিসি স্যারের রুমের সামনে আসলে সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ তাদের সঙ্গেও খারাপ আচরণ করেন। 

তিনি আরও উল্লেখ করেন, ভেতরে থাকা সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ আমাদেরকে চাকরি কীভাবে করি, বাহিরে বের হলে দেখে নেবে বলে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। বর্তমানে আমি ও কুবিতে কর্মরত অফিসারগণ আমাদের চাকরি ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিয়ে শংকিত।

জিডির বিষয়ে সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘একটা অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে৷ আমরা তদন্ত করছি।'

এর আগে মঙ্গলবার  বিকাল চারটায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে আসে নবনির্বাচিত শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ। সে সময় উপাচার্য দপ্তরে বাগবিতণ্ডার আওয়াজ শুনে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ও কর্মকর্তারা উপাচার্য দপ্তরে জড়ো হয়। তখন শিক্ষকদের সঙ্গে কয়েক দফায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ও কর্মকর্তাদের কয়েক দফায় বাগবিতণ্ডা হয়। সার্বিক বিষয়ে উপাচার্য শিক্ষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে দুই ঘণ্টা আলোচনা শেষে বেরিয়ে যান। তবে শিক্ষকরা রাত ১০টা পর্যন্ত উপাচার্য দপ্তরে অবস্থান করে সদর দক্ষিণ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।

(ঢাকাটাইমস/২১ফেব্রুয়ারি/এআর)