বুয়েটের স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তির প্রাক-নির্বাচনি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

প্রকাশ | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৩৮ | আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৪৪

ঢাবি প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তির প্রাক-নির্বাচনি পরীক্ষা শনিবার বুয়েট ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুই শিফটের প্রাক-নির্বাচনি পরীক্ষার প্রথম শিফট সকাল ১০টা থেকে সকাল ১১টা এবং দ্বিতীয় শিফট বেলা ৩টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়।

সব সঠিক আবেদনকারীর মধ্য থেকে বাছাই করে ১৭ হাজার ৪২৮ জন শিক্ষার্থী প্রাক-নির্বাচনি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন। এর মধ্যে ছাত্র ১২ হাজার ৫৫৫ জন এবং ছাত্রী ৪ হাজার ৮৭৩ জন। প্রাক-নির্বাচনি পরীক্ষায় প্রতি শিফটে ৮ হাজার ৭১৪ জন করে শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেলেও প্রথম শিফটে ৭ হাজার ৭১৩ জন শিক্ষার্থী এবং দ্বিতীয় শিফটে ৭ হাজার ৭৩০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। ১০০ নম্বরের এমসিকিউ টাইপ প্রশ্নের মাধ্যমে প্রাক- নির্বাচনি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা প্রাক-নির্বাচনি ও মূল ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। প্রাক-নির্বাচনি পরীক্ষার ফলাফলের মেধাক্রম অনুসারে প্রতি শিফটের ১ম থেকে ৩০০০তম শিক্ষার্থীকে (মডিউল A এবং মডিউল B সহ) মূল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য নির্বাচিত করা হবে। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীভুক্ত ন্যূনতম ১২ জন পরীক্ষার্থী (পর্যাপ্ত আবেদন গ্রহণ সাপেক্ষে) মূল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। মূল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য বিবেচিত আবেদনকারীদের তালিকা প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪। তালিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (www.buet.ac.bd) প্রকাশ করা হবে। আগামী ৯ মার্চ ২০২৪ মূল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

মূল ভর্তি পরীক্ষা লিখিত আকারে ২ ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে। এই পরীক্ষায় থাকবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মডিউল-এ 'ক' ও 'খ' গ্রুপের জন্য গণিত, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন এবং বেলা ২টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত মডিউল-বি 'খ' গ্রুপের মুক্তহন্ত অঙ্কন এবং দৃষ্টিগত ও স্থানিক ধীশক্তি।

কেমিক্যাল অ্যান্ড ম্যাটেরিয়ালস কৌশল, পুরকৌশল, যন্ত্রকৌশল, তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল এবং স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদসমূহের অধীনে ১৩টি বিভাগে স্নাতক শ্রেণিতে ছাত্রছাত্রী ভর্তি করা হবে। এবারের ভর্তি পরীক্ষায় পার্বত্য চট্টগ্রাম ও অন্যান্য এলাকার ক্ষুদ্র জাতি গোষ্ঠীভুক্ত প্রার্থীদের জন্য প্রকৌশল বিভাগসমূহ এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের জন্য মোট ৩টি ও স্থাপত্য বিভাগে ১টি সংরক্ষিত আসনসহ সর্বমোট ১ হাজার ৩০৯টি। চূড়ান্ত ভর্তির জন্য নির্বাচিত ও অপেক্ষমাণ প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ ৩১ মার্চ ২০২৪।

(ঢাকাটাইমস/২৪ফেব্রুয়ারি/এসকে/ইএস)