ইউনাইটেড গ্রুপের সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে ডিবিতে অভিযোগ

প্রকাশ | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:২৫ | আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:২৯

​​​​​​​নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

ইউনাইটেড গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঈন উদ্দিন হাসান রশিদ এবং সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনাইটেড মেডিকেল হাসপাতালের চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ রাজাসহ আট জনের বিরুদ্ধে ডিবির প্রধান কার্যালয়ে অভিযোগ দিয়েছেন সুন্নতে খতনা করাতে গিয়ে ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা যাওয়া শিশু আয়ানের বাবা শামিম আহমেদ।

রবিবার বেলা সোয়া ১টার দিকে তিনি মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে যান। সেখানে তিনি ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।

যাদের বিরুদ্ধে ডিবিতে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে, অভিযুক্ত চিকিৎসক সাইদ সাব্বির আহম্মেদ, ডা. তাসনুভা মাহজাবিন, রিফাতুল আক্তার, ইউনাইটেড হাসপাতাল গুলশান-২ এর জেনারেল ম্যানেজার (জিএম এডমিন) বসির আহমেদ মোল্লা, এজিএম এডমিন মঈনুল আহমেদ, ইউনাইটেড গ্রুপের হেলথ কেয়ার পরিচালক নিজাম উদ্দিন হাসান রশিদ, ইউনাইটেড গ্রুপের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনাইটেড মেডিকেল হাসপাতালের বর্তমান চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ রাজা ও  ইউনাইটেড গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঈন উদ্দিন হাসান রশিদ।

এছাড়া ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল ও ইউনাইটেড হাসপাতালের অজ্ঞাতনামা পরিচালক, ডাক্তার ও অজ্ঞাতনামা কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দিয়েছেন শিশু আয়ানের বাবা।

ডিবিতে লিখিত অভিযোগে শামীম আহমেদ বলেছেন, ‘আমরা মনে করেছিলাম, ইউনাইটেড হাসপাতাল একটি বড় হাসপাতাল, তাদের নিযুক্ত ডাক্তাররা যোগ্য এবং অভিজ্ঞ, তাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা ভালো, এসব ভেবেই আমি আমার ছেলেকে নিয়ে গিয়েছিলাম ওই হাসপাতালে কিন্তু তারা আমার ছেলেটাকেই মেরে ফেলল। আমার ছেলের সাথে এই ঘটনা ঘটার পরে আমরা জানতে পারি এই হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে এসে চিকিৎসায় অবহেলাজনিত কারণে আরো অনেকেই ভুল চিকিৎসার শিকার হয়ে মারা গেছেন।’

তিনি বলেন,‘ এ ঘটনায় ৯ জানুয়ারি বাড্ডা থানায় একটি মামলা করি (যাহার নাম্বার ১৩তাং ০৯-০১-২৪, ধারা ৩০৪ ৩/ ১০৭)। কিন্তু আজ প্রায় দুই মাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও কাউকে বিচারের আওতায় আনা হয়নি, এমন কি কাউকে গ্রেপ্তারও করা হয়নি। অভিযুক্ত চিকিৎসকরা এখন পর্যন্ত নির্বিঘ্নে অফিস করছেন। তাদের বিরুদ্ধে ইউনাইটেড হাসপাতাল কোনো প্রকার শান্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। আমি বাড্ডা থানায় মামলা করার কারণে আমি এবং আমার পরিবারকে প্রাণনাশের প্রকাশ্য হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। যার কারণে আমরা শাহবাগ থানায় একটি জিডি করি ( যাহার নাম্বার-১৮২৬ তারিখ ২৮-০১-২৪)। আমি ও আমার পরিবারের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছি।’

উল্লেখ্য, গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর সুন্নতে খতনা করানো জন্য আয়ানকে রাজধানীর ভাটারায় মাদানী অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা ফুল অ্যানেসথেসিয়া দিয়ে অজ্ঞান করেন আয়ানকে। এরপর জ্ঞান না ফেরায় ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাড়িতে করেই গুলশান-২ এ ইউনাইটেড হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। প্রথমদিনই চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তোলে আয়ানের পরিবার।

৭ জানুয়ারি রাত ১১টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর গুলশান-২-এ ইউনাইটেড হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা শিশু আয়ানকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/২৫ফেব্রুয়ারি/টিআই/কেএ)