বাঁচা-মরার লড়াইয়ে দেড়শোর আগেই গুটিয়ে গেল চট্টগ্রাম

প্রকাশ | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:২৬ | আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫৫

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকা টাইমস

আগের ম্যাচেই দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে দলকে প্লে অফের টিকিট এনে দিয়েছিলেন তানজিদ তামিম। তবে এলিমিনেটরে এসে ব্যর্থ হলেন এই ওপেনার। তামিমের ব্যর্থতার দিনে দায়িত্ব নিয়ে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি কেউই। জশ ব্রাউন-টম ব্রুসরা ভালো শুরু পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তাতে দেড়শ রানও স্কোরবোর্ডে তুলতে পারেনি চ্যালেঞ্জার্সরা।

সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রান সংগ্রহ করেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। দলের হয়ে ২২ বলে সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেছেন ব্রাউন।

বাঁচা মরার এই ম্যাচে চট্টগ্রামের হয়ে ওপেনিংয়ে নামেন তানজিদ হাসান তামিম ও জশ ব্রাউন। তবে দলীয় মাত্র ৪ রানেই ভেঙে যায় এই জুটি। ৩ বলে ২ রান করা তানজিদ হাসান তামিম সাইফউদ্দিনের বলে উইকেটরক্ষক মুশফিকের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরে যান সাজঘরে। তার বিদায়ে ৪ রানেই প্রথম উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। 

৪ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর ইমরানুজ্জামানকে নিয়ে জুটি গড়েন জশ ব্রাউন। এই জুটিতে ভর করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে চট্টগ্রাম। তবে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই এই জুটিকে থামান ওবেদ ম্যাককয়। ওবেদ ম্যাককয়ের বলে কাইল মায়ার্সের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন ইমরানুজ্জামান। আউট হওয়ার আগে করেন ১৩ বলে ৭ রান। তার বিদায়ে ভাঙে ২৭ রানের জুটি। 

ইমরানুজ্জামানানের বিদায়ের পর আরেক বিদেশি ক্রিকেটার টম ব্রুসকে নিয়ে জুটি গড়েন জশ ব্রাউন। তবে আগের দুই জুটির মতো এই জুটিও ব্যর্থ ছিল আজ। দলীয় ৫২ রানে জশ ব্রাউনের বিদায়ে ২১ রানেই ভাঙে এই জুটি।

জশ ব্রাউনের পর দলীয় ৬৪ রানে সাজঘরে ফিরে যান টম ব্রুসও। ১১ রানে ১৭ রান করা টম ব্রুস কাইল মায়ার্সের বলে শর্ট থার্ড ম্যানে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরে যান সাজঘরে। তার বিদায়ে ৬৪ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে চট্টগ্রাম। 

৬৪ রানে ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর জুটি গড়ে দলকে বিপর্যয় থেকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন শুভাগত হোম ও শৈকত আলী। তবে তারাও ব্যর্থ হন নিজেদের জুটিকে বেশিদূর নিয়ে যেতে। দলীয় ৮৪ রানে শৈকত আলীর বিদায়ে ২০ রানেই ভেঙে যায় এই জুটি। 

শৈকত আলীর বিদায়ের পর রোমারিও শেফার্ডকে নিয়ে জুটি গড়েন শুভাগত হোম। এই জুটি থেকে ২৬ রান। দলীয় ১১০ রানে ১৬ বলে ২৪ রান করা শুভাগত হোম কাইল মায়ার্সের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরে যান শুভাগত হোম। 

শুভাগত হোমের পথ ধরে দলীয় ১১৩ রানে সাজঘরে ফিরে যান রোমারিও শেফার্ডও। জেমস ফুলালের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। আউট হওয়ার আগে করেন ১৬ বলে ১১ রান।

এই জুটি ভাঙার পর আর বেশিদূর এগোতে পারেনি চট্টগ্রাম। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রান তুলতে সক্ষম হয় তারা। 

(ঢাকাটাইমস/২৬ ফেব্রুয়ারি/এনবিডব্লিউ)